নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলামিন। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মোঃ আলামিন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মোঃ আলামিন তার বক্তব্যে বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক নিয়োগ বাণিজ্য, বদলী বাণিজ্য, পোস্টিং বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ থেকে ঘুষ বাণিজ্য, শিক্ষা অফিস থেকে মাসোয়ারা গ্রহন, স্লিপ কার্যক্রম থেকে বাণিজ্য, বিদেশে অর্থ পাচার করে থাকেন। তার দুর্নীতির সহচর সহকারী শিক্ষক জিয়াউল হক মীর (কিরণ) এর মাধ্যমে তিনি যাবতীয় কর্মকান্ড করে থাকেন। কিরণের দাপটে অতিরিক্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ সর্বদা তটস্থ থাকেন।
আলামিন বলে, ২০২০ সালে সর্বশেষ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এ জেলায় প্রায় ৬শ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। অধিকাংশ শিক্ষকের কাছ থেকে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেন। পোস্টিং দেয়ার জন্য ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এমনকি যে শিক্ষকরা সুব্রত বণিকের সাথে যোগাযোগ করেননি তাদেরকে স্থায়ী ঠিকানা থেকে দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং দেয়।
তিনি বলেন, স্লিপ, রুটিন মেইনটেনেন্স, ক্ষুদ্র মেরামতসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মকান্ড থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করেন। প্রত্যেক উপজেলার ইউডির কাছ থেকে নির্ধারিত অংকের মাসোয়ারা গ্রহণ করে থাকেন। ১ হাজার ৪০০টি বিদ্যালয়ে ৬ জন করে শিক্ষার্থীর জন্য কাবড্রেস তৈরির মাধ্যমে ১ হাজার ২শত টাকার স্থলে ৩ হাজার ২৫০ টাকা করে গ্রহণ করেন। এ সময় মোঃ আলামিন সরকারের প্রতি এসব দুর্নীতির প্রতিকার ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন।
Comments
comments