ঢাকাবুধবার , ৩ নভেম্বর ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে হাসপাতাল এনআইসিইউ ড্রাইভারের বাসা!

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ৩, ২০২১ ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রটিকে রীতিমতো বাসা বানিয়েছে হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মরত ড্রাইভার ইউনুস আলী। সরকারি প্রতিষ্ঠান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বাসা হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। নবজাতকদের জন্য ৪টি বেড বরাদ্দ থাকলেও সেখানে একজন আউটসোর্সিং ড্রাইভার নিয়মিত থাকছেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই আউটসোর্সিংয়ের কর্মরত ড্রাইভার ইউনুস আলীকে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (এনআইসিইউ) থাকার মৌখিক অনুমতি দেন। এরপর থেকে নবজাতক নিবিড় রুমটি দখল করে রীতিমতো থাকতে শুরু করেন ইউনুস আলী। তবে, বিষয়টি হাসপাতালের নার্সরা জানলেও অজ্ঞাত কারণে কেউ মুখ খুলেননি।

একাধিক সূত্র বলছে, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে না। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রটি ব্যবহার না করায় ভেতরের অনেকাংশের আসবাবপত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা। বিদায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন নিজের ক্ষমতা বলে যা ইচ্ছে করে যাচ্ছেন। আর তার ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নন হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা।

হাসপাতালের নার্সরা জানিয়েছেন, মাস কয়েক আগে ড্রাইভার ইউনুস আলীকে নবজাতক পরিচর্যা রুমে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেটি দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন। এসব রুমে শিশুরোগী ছাড়া অন্যকেউ থাকার সুযোগ না থাকলেও ওই ড্রাইভার রাতের পর রাত থেকে যাচ্ছেন বলেও জানান তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ড্রাইভার ইউনুস আলী জানান, ‘টিএইচও স্যারের অনুমতিক্রমে এখানে থাকছি। আমাকে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরবেশি কিছু বলতে পারবো না।’

বিদায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে মুটোফোন কেটে দেন।

আর কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানান, নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা রুমে শিশু রোগী ছাড়া অন্য কেউ থাকার সুযোগ নেই। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

Comments

comments