ঢাকাসোমবার , ২৭ এপ্রিল ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাভারে কর্মহীনদের অস্থায়ী নিত্যপণ্যের বাজার

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ২৭, ২০২০ ৫:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিন দিন বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। ইতিমধ্যে তছনছ করে দিয়েছে অনেক উন্নত অনেক রাষ্ট্রকে। আর ভয়াবহতার দিকে খেয়াল রেখে সরকার আগে ভাগেই নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ গণপরিবহণ। ফলে কর্মহীন হয়ে কষ্টে দিন যাপন করছেন অনেকেই। আর এই কর্মহীনদের কর্ম যোগানে সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা নিয়েছেন মহতী উদ্যোগ।

করোনার প্রভাবে যারা কর্ম হারিয়েছেন, তাদের অনেকেই পেয়েছেন নতুন কর্ম। তারা অস্থায়ী বাজারে ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছেন কোনো রকম খরচ ছাড়া। ত্রাণের অপেক্ষায় না থেকে নিরাপদে ব্যবসা করে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এসব ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি না থাকায় বাজার করছেন সচেতনরা। বাজারে রয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।

সোমবার সকালে আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা মেলে এই অস্থায়ী বাজারের। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়েছে নিরাপদ নিত্যপণ্যের বাজার। যেখানে প্রবেশ করার সময় করা হয় জীবাণুনাশক স্প্রে। নিরাপদে বাজার করতে পেরে স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করেছে ক্রেতা সাধারণ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সম্রাটের উদ্যোগে এই বাজার বসিয়েছেন বর্তমান হাট ইজারাদার।

হাট ইজারাদার জসিম উদ্দিন পিন্টু মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সম্রাটের উদ্যোগে এই বাজার বসানো হয়েছে। স্কুল মাঠে কোন রকমের ইজারা ছাড়াই এই বাজার বসানো হয়েছে। এই বাজার সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

হোটেল ব্যবসায়ী আজাহারের হোটেল বন্ধ হয়েছে প্রায় দেড় মাস। এক মাস কর্ম না থাকায় শুরু হয় অভাব। পরে এই বাজারের সন্ধান পেয়ে সবজির দোকান দিয়েছেন তিনি। আজাহার বলেন, এখানে দোকান দিতে না পারলে সন্তান স্ত্রী আজ অনাহারে থাকতে হতো।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আগের স্থানে বাজার বসলে ঝুঁকি থাকতো প্রচুর। কারণ ওখানে দোকানগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো ছিল না। তাছাড়া জায়গাও ছিল কম। এখানে দোকান দিতে পেরে স্বস্তি পেয়েছি। কারণ বাজারে ঢুকলেই জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়। পরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সবাই বাজার করছে, আমরাও বিক্রি করছি। এতে আমরা নিজেরা ও পরিবারের সকলকে নিরাপদে রাখছি।

ক্রেতা আসাদুল বলেন, বাইপাইল থেকে বাজার করতে এসেছি। বাইপাইলে আড়ৎ আছে। দামও কম, কিন্তু বাজারের মানুষ তেমন সচেতন না। তাই এই বাজারের খোঁজ পেয়ে এখানেই আসলাম। অনেক ভাল ব্যবস্থাপনা এখানে। নিরাপদে বাজার করতে হলে এরকম বাজারই দরকার।

উদ্যোক্তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সম্রাট বলেন, এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং কর্মহীনদের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই উদ্যোগে বেশ কয়েক হলো এ বাজার বসানো হয়েছে। এখানে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাজার বসে। একজন চিকিৎসক সবসময় এখানে ক্যাম্পেইন করেন। তারা পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম জীবাণুনাশকসহ একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন ইজারাদার কমিটি।

রাকিব হাসান জিল্লু, সাভার প্রতিনিধি

Comments

comments