ঢাকাবুধবার , ৬ মে ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাঙ্গলকোটে ডিলারের বিরুদ্ধে চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ৬, ২০২০ ৯:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ও. এম. এস ডিলার আবু বাকেরের বিরুদ্ধে কার্ডধারী হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কার্ডধারী জোড্ডা পশ্চিম ইউনিযনের করপাতি, দুয়ারিয়া ও নোয়াপাড়া গ্রামবাসীর পক্ষে আবদুল খালেক ও আককর আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করে তার ডিলারশীপ বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের ঘোড়াময়দান গ্রামের আবু বাকেরের ও. এম. এস ডিলারশীপ রয়েছে। তার মাধ্যমে হতদরিদ্র কার্ডধারীরা ও. এম. এস এর ১০টাকা কেজি ধরে ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু আবু বাকের বিভিন্ন সময়ে হতদরিদ্রদের বিতরণকৃত চাল ওজনে কম দিয়ে ৩০ কেজি চালের মধ্যে কখনো ২০ কেজি আবার কখনো ২২ কেজি করে চাল দিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে কার্ডধারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের কার্ড বাতিল করে দেওয়ার হুমকিসহ মারধর করে এবং তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। ফলে এনিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। গত ৮ এপ্রিল সে চাল বিতরণের সময় হতদরিদ্রদের ১৯ থেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট চাল কম দেয়ার প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

করপাতি ও দুয়ারিয়া গ্রামের অভিযোগকারী কার্ডধারীরা হলেন আবদুল খালেক, কার্ড নং-৫৩৭, ফিরোজা, কার্ড নং-৫২১, আকলিমা বেগম, কার্ড নং-৫৩৬, কমলা, কার্ড নং-৫১৫, নুরুন্নাহার, কার্ড নং-৫০৮, খাদিজা বেগম, কার্ড নং-৫১০, মেহরুন্নেছা, কার্ড নং-৫১৩, পারভীন, কার্ড নং-৫১২। নোয়াপাড়া গ্রামের কার্ডধারীরা হলেন, আককর আলী, কার্ড নং-৫৯৯, মালেকা বেগম, কার্ড নং-৫৬৬, আমান উল্লাহ, কার্ড নং-৫৫০, মিনু আক্তার, কার্ড নং-৫৯৫, মহিন উদ্দিন, কার্ড নং-৫৯৩, আবদুল মজিদ, কার্ড নং-৫৯৬, আবদুল মতিন, কার্ড নং-৫৬৭, মহিন উদ্দিন, কার্ড নং-৫৪৩, মাজেদা আক্তার, কার্ড নং-৫৬৮, জাহেরা বেগম, কার্ড নং-৬১০।

অভিযোগকারী আবদুল খালেক বলেন, আবু বাকের ডিলারশীপ নেয়ার পর থেকে আমাদেরকে চাল বিতরণে ওজনে কম দিয়ে আসছিলেন। গত ৮ এপ্রিল চাল বিতরণের সময় ওজনে কম দিলে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মাকর্তাকে জানাই। তিনি আমাদেরকে চাল নিয়ে উনার অফিস আসতে বলেন। আমরা চারজন কার্ডধারী চাল নিয়ে উনার অফিসে আসি। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল ওজন করে চল কম দেওয়ার সত্যতা পান। কিন্তু তারপরও এপর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তদন্তে সতত্য পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments