কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৮৪ জন আউটসোর্সিং কর্মী গত এক বছর ধরে কাজ করলেও বেতন-ভাতা পাননি। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এদিকে নিয়োগকর্তা ঠিকাদার বলছেন, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি তাদের বেতন ভাতা দেয়ার জন্য কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ আনতে হয়। টাকা ছাড় না দেয়ায় বেতন দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে আউটসোর্সিং কর্মীদের বেতন প্রাপ্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগের কাজ পায় মেসার্স রাইসা মেডিকেল সেন্টার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, আয়া, কুক, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে ৮৪ জনকে নিয়োগ দেয় তারা। কিন্তু গত ১ বছর নিয়মিত কাজ করলেও কর্মীদের বেতন পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
চাকরি হারাবার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মী জানান, গত ১ বছর ধরে বেতন না পাওয়ায় দোকান থেকে বাকিতে খেতে হচ্ছে। কিন্তু এখন আর দোকানি মালামাল দিতে চাচ্ছে না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলের বেতন বাকি পড়েছে। ঘরভাড়া দিতে পারছি না। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে আমাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। এই দিয়ে কি আমাদের সংসার চলে ?
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ রফিকুল হক টিটু বলেন, মেডিকেল কলেজগুলোর বাজেটে আউটসোর্সিং কর্মীদের বরাদ্দ দেয়া থাকে তাই তাদের বেতন দিতে সমস্যা হয় না। কিন্তু জেনারেল হাসপাতালের বরাদ্দ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আনতে হয়। তিনি আরও বলেন, গত ৪ বছরে আমার যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এখন আর দরকার নেই। আমি ৩ বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু তারা তা গ্রহণ করেনি।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হিবরুল বারী জানান, আমি যোগদান করার পরে জানতে পারি আউটসোর্সিং কর্মীদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে না। তাদের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য আমি একটি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই তাদের বেতনভাতা পরিশোধ করতে পারব।
Comments
comments