ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২১ মে ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে শ্রমিকেরা 

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ২১, ২০২০ ৯:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজবাড়ী সহ সারাদেশে চলছে লকডাউন। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রাখতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।

কিন্তু রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকেরা মানছে না কোন স্বাস্থ বিধি। এক সাথে গাদা গাদা করে কাজ করছে প্রায় দেড় দুইশত শ্রমিক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কারো মুখে মাক্স নেই, নেই কোন প্রকার সামাজিক দূরুত্ব। একসাথে গায়ে গা লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সকল শ্রমিকেরা।খাওয়ার আগে কোনা প্রকার সাবান ব্যাবহার ছাড়াই টিউবওয়েল এর পানি দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার খাচ্ছে। কোন প্রকার স্বাস্থবিধি তওয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্মাণ শ্রমিকেরা।

কয়েকজন শ্রমকের  সাথে কথা বলে জানাগেছে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাহাদুরপুর, হাবাস পুর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসে শ্রমিকেরা কাজ করে আর যাওয়ার সময় একটি বডবটি (গ্রামীনা গাড়ী) রিজারব করা আছে কাজ শেষ করে বিকালে গ্রামের বাড়ী ফিরে যান। ”

আর এ যাওয়া আর আসার মাঝে এবং গাদাগাদা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে  কাজ চালিয়ে গেলে করোনার মত মহামারী ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সবাই।

জানাগেছে, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর আড়াইশ বেডের নির্মাণ কাজ এর ঠিকাদার করছে সালাম কন্সট্রাকশন (ফরিদপুর) ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই ভবনের কাজের মেয়াদ শেষ হবার আগেই কাজ সমপন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে কথা হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মুকুল হোসেন এর সাথে তিনি জানান, আমাদের এ কাজ জুন এর আগেই শেষ করতে চেষ্ঠা করছি। কাজের সময়ও কম। শ্রমিকদের বলেছি মাক্স ব্যাবহার করতে। কিন্তু শ্রমিকেরা কাজ করতে গিয়ে ঘেমে যায় এ জন্য তারা মাক্স ব্যাবহার করতে পারেনা।’

করোনা কারনে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। এ সময় কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কোন অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান,অনুমতি সাপেক্ষেই কাজ করা হচ্ছে। অনুমতি পত্র চাইলে তিনি কোন অনুমতি পত্র দেখাতে পারেন নি।

অন্যদিকে রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত করোনা সনাক্ত হয়েছে ২৩ জনের শরীরে। আর এদের মধ্যে ৫ জন ই রাজবাড়ী পাংশা থানার।পাংশা সহ বিভিন্ন যায়গা থেকে আসা শ্রমিকেরা এভাবে গাদাগাদি করে কাজ করলে করোনা ভাইরাস সংক্রামনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা  ।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু করেছি। আমাদের নির্মাণ কাজে কোন লিখিত অনুমতি প্রয়োজন হয় না। মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু করেছি। তবে আমি বলে দিয়েছি সবাইকেই মাক্স ব্যাবহার করতে এবং ৩ ফুট দূরুত্বে থেকে কাজ করতে ।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, এখন সব কাজই কিছু কিছু করে চলছে। পি ডব্লিউ ডি এর এক্সেন আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি বলে দিয়েছি সীমিতভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার জন্য। যেহেতু রাজবাড়ীতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ পরিস্থিতিতে এ জন্য সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কাজ করার সুযোগ নেই আমি পি ডব্লিউ ডি এর এক্সেন এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।

Comments

comments