ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ মে ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাভারে বিনোদন কেন্দ্র জনশূন্য; ফটকে ঝুলছে তালা

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ২৮, ২০২০ ৬:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনা ভাইরোসের প্রভাবে সাভারের আশুলিয়ার সব বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। এরমধ্যে ঈদের আনন্দ যেন কষ্ট আর দুর্দশায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর দুই ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে সাভারের আশুলিয়ার বিনোদন কেন্দ্রগুলো কানায় কানায় পূর্ণ থাকে দর্শক। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনেও বিনোদন কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি ফাঁকা। জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে এখানকার থিম পার্ক, লেকপারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।

মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, বহুল আলোচিত এই থিম পার্কটি পুরোপুরি ফাঁকা পড়ে আছে। পার্কটির প্রধান গেটের সামনে দুই-তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া আর কেউ নেই। পার্কটির সামনে এসে কিছু মানুষ ঘুরাঘুরি করলেও ভেতরে যেতে পারছে না কেউ।
অন্যদিকে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকায় নন্দন পার্ক, আশুলিয়ার নবীনগর এলাকার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ধামরাইয়ের আলাদিনস পাক খোঁজ নিয়ে একই অবস্থার কথা জানা গেছে।

এদিকে দর্শনার্থীরা কেউ কেউ বিনোদন কেন্দ্রগুলো আসলেও বন্ধের নোটিশ পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পাশপাশি অনেকে সড়কে দেখা গেলেও সামাজিক দুরুত্ব ততটা মানছেন না এখানকার সাধারণ মানুষ।

রাজধানীতে আসা দর্শনার্থী এক পরিবার জানান, আমরা আসলে জানতাম যে ফ্যান্টাসি কিংডম বন্ধ রয়েছে। তারপরও এখানে এসে দেখি ফটকে তালা। তখন নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে পার্ক। তাই আবার ফিরে যাচ্ছি।

ফ্যান্টাসিং কিংডমের সহকারী ব্যবস্থাপক আবুদল সালাম জানান, কবে নাগাদ খুলবে এইসব বিনোদন কেন্দ্র সেই অনিশ্চিতয়তার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে ফ্যান্টাসি কিংডম ও কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড পি আর এম মাহফুজুর রহমান বলেন, করোনা বাংলাদেশে আক্রমণের পরপরই আমাদের ফ্যান্টাসি কিংডম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে কাউকেই পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পার্ক বন্ধ করার কারণে গত দুই মাসে আমাদের প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ঈদেও আমাদের বড় একটি ক্ষতি হয়ে গেল৷

নন্দন পার্কের হেড অব মিডিয়া অফিসার মেজবাউদ্দিন প্রিন্স বলেন, আগের ঈদগুলোতে আমরা দর্শনার্থীদের কাছে টিকিট বিক্রি করেও টিকিটের চাহিদা পূরন করতে পারিনি। কিন্তু এবার ঈদে করোনার কারণে আমরা অনেক লসে রয়েছি৷ পার্ক খুলতে পারছি না। দর্শনার্থীও আসছে না।

নিরাপত্তার বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন বলেন, এবারের ঈদের কোনো আনন্দ নেই। ঈদের দিনেও সড়কে তেমন মানুষ চোখে পরেনি। আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে তো জনসাধারণের যাওয়া পুরোপুরি নিষেধ। আমরা সবসময় জনগণের জন্য বাইরে আছি। জনগণ যেন আমাদের সবার জন্য নিজ নিজ বাড়িতে থাকে এটাই আমরা চাইব।

Comments

comments