দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে মায়ের হাতে ফাতেমা (১৪) নামক ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সে উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুরা (বালুয়ারচড়া) গ্রামের বুলু মিয়ার কন্যা। এঘটনায় ফাতেমার মা রহিমা বেগমকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। রবিবার বিকালে ফাতেমার নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, মায়ের নিষেধ উপেক্ষা করে ফাতেমা গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। রোববার বিকালে ফাতেমা গাছ থেকে আমপাড়ার সময় তার মা রহিমা বেগম(৪০) ফাতেমার কোমরে মোবাইল দেখে তা কেড়ে নিয়ে বাড়িতে গোপন স্থানে রেখে পার্শ্ববর্তী গ্রামে যায়। পরে বাড়ীতে এসে নির্ধারিত স্থানে মোবাইল ফোনটি না পেয়ে মা ফাতেমা’র নিকট মোবাইল ফোনটি ফেরত চায়। কিন্তু ফাতেমা মোবাইলটি না দিলে মা ফাতেমাকে মারপিট করে। এ সময় ফাতেমার গলার ওড়না টানা্-হেঁচড়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ফাতেমা নিহত হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার সহ মা রহিমাকে আটক করে । ঘটনার সময় নিহতের বাবা কঁাঠাল বিক্রয় করার জন্য বাজারে ছিলেন ।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান-এ ঘটনায় নিহতের চাচা আলম মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে এবং আটক রহিমাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
Comments
comments