কিশোরগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদের (৯০)কে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার করমুলি জমশেদ উদ্দিনের পুকুর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদেরের বোরো ধানের জমিতে আসামী রহমান মিয়ার হাঁস গিয়ে ক্ষতিসাধন করলে রহমান মিয়াকে জমিতে হাঁস যেন না আসে নিষেধ করলে মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুন জখমের হুমকি দেয়। গত শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদের আসামী রহমান মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন জমিতে কোদাল দিয়া কাজ করে জমশেদ উদ্দিনের পুকুর ঘাটে হাত মুখ ধৌত করতে থাকাবস্থায় আসামীরা আঃ কাদেরকে ঘেরাও করে ফেলে। পরে আসামী নাজমা আক্তার (৩৫) হুকুম দেয় আঃ কাদেরকে খুন করতে। এ সময় আসামী রহমান মিয়া উক্ত কোদাল দিয়ে আঃ কাদেরের মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে উক্ত কুপ তার বাম হাতের বাজরায় লেগে গুরুতর কাটা জখম হয়। তখন আসামীরা আঃ কাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে আসামীরা আঃ কাদেরের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আঃ কাদেরকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ভূপাল নন্দী বলেন, যে দেশ স্বাধীন করার জন্য আমরা জীবন বাজি রেখেছি সে দেশেই আমার মত মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই। আসামীদেরকে অচিরেই গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, উক্ত ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আঃ কাদেরের পুত্র শাহাদাত হোসাইন রাজন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা যার নং- ১৩, তারিখ: ০৬ জানুয়ারি ২০২০ দায়ের করেছে। আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই সকল আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।
Comments
comments