ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কে কি বললো ভাবলে সফল হওয়া যায়না

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০ ৮:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লকডাউনের এই লম্বা সময়টা নিজের কাজে লাগিয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সেরেছেন বাগদান। চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। তবে, এর আগেই ব্যস্ত হলেন পড়াশোনা নিয়ে। ফারিয়া ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে আইন বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। অনলাইনে ক্লাস করেছেন প্রতিদিন। বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে লকডাউনের বিরতি ভেঙেছেন তিনি। অক্টোবরে শুরু করবেন ছবির কাজও।

লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন থেকে টানা কয়েক মাসের বিরতি মিলেছিল হঠাৎ। মেকআপ ব্রাশে লাস্ট মিনিটের টাচ আপের ঝক্কি থেকেও রেহাই মিলেছিল। এ সময়ে ছিল না কলটাইমের কোনো টেনশনও। এই লম্বা ঘরবন্দি সময়টা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কাজে লাগিয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সেরেছেন বাগদান। চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। তবে এর আগেই ব্যস্ত হলেন পড়াশোনা নিয়ে। ফারিয়া ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে আইন বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। লকডাউনের পুরোটা সময় নুসরাত ফারিয়া ছিলেন তাদের খামারবাড়ি ময়মনসিংহে। যখন দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হলো, এর পরপরই চলে গিয়েছিলেন সেখানে। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সেখানে উঠেছিলাম। গ্রামীণ পরিবেশে অসাধারণ কেটেছে আমার। এ সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার কাছে।’কথায় বলে, বিধির বিধান খণ্ডাবে কে। ২০১৪ সালের ২১ মার্চ এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া ফেরত এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয় নুসরাত ফারিয়ার। শুরুতে ‘হাই’, ‘হ্যালো’। জানতে পারলেন যুবকের নাম রনি রিয়াদ রশীদ। এভাবে আরও কয়েকটা দিন। তারপর সে কথার জল গড়াল প্রেম পর্যন্ত। আর এখন ফারিয়া তার বাগদত্তা। তাই তো ছয় বছর আগে দু’জনার দেখা হওয়া দিনটি স্মরণে রেখে লকডাউনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ হাতে হাত রেখে আংটিবদল করে নিলেন তারা।

ফারিয়া বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। আমরা দীর্ঘদিন একে অপরকে চিনি। পরিবারের সম্মতিতে আমাদের আংটিবদল হয়েছে।’ শুনলাম বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর আপনি অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন? ‘হ্যাঁ, তা তো যাবই! কারণ, ওর কাজের জায়গা ওখানে। তবে নিয়মিত থাকতে নয়। দেশ ও অস্ট্রেলিয়া- দুই জায়গাতেই থাকব।’ বাগদানের কথা তিন মাস লুকিয়ে রেখেছিলেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও কি লুকিয়ে রাখবেন? ‘না, বিয়েটা লুকাব না। কবে হবে, সেটা এখনই বলতে পারছি না। এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। করোনার প্রভাব কমে গেলেই ধুমধাম করে আয়োজন করতে চাই।’

আবারও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সবকিছু। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শুটিং সেট। প্রায় আড়াই মাস বিরতি দিয়ে গত জুন থেকে শুরু হয় টিভি নাটক আর বিজ্ঞাপনের কাজ। এরপর জুলাইতে শুরু হয় চলচ্চিত্রের কাজ। ফারিয়াও চলতি মাসে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের শুটিং বিরতি ভেঙেছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বদলে গেছে এখনকার সময়ের শুটিং সেটের চিরচেনা অনেক রীতি, অনেক অভ্যাস। আগে শুটিংয়ের সময় সাজঘর মুখর থাকত কথা আর হাসিঠাট্টায়। কিন্তু এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে এই আড্ডায় ভাটা পড়েছে।’

চলতি বছরের ৬ মার্চ ফারিয়া অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘শাহেনশাহ’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাকিব খান। এখন ফারিয়ার হাতে রয়েছে ৫টি ছবির কাজ। এগুলো হলো ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘ঢাকা ২০৪০’ ও ‘যদি…কিন্তু…তবুও’ এবং কলকাতার ‘ভয়’ ও ‘বিবাহ অভিযান ২’ ছবির কাজ। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকেও অভিনয় করবেন তিনি। এই ছবিতে তাকে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রে। ফারিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছবির কাজ শুরু করছেন কবে থেকে? ফারিয়া জানালেন, অক্টোবরে শুরু হবে দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবির কাজ। এই ছবিতে নুসরাত ফারিয়ার সহশিল্পীরা হলেন- রিয়াজ, সিয়াম আহমেদ, তাসকিন রহমান, রোশনসহ আরও অনেকে। নাম শুনেই আন্দাজ করা যায় সুন্দরবন নিয়েই ছবির গল্প। একসময় সুন্দরবনের ভয়ংকর জলদস্যুদের হাড়হিম করা আখ্যানের কথা তো অনেকেরই জানা। সুন্দরবনতে জলদস্যুমুক্ত করার অভিযান নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটির গল্প। সঙ্গে থাকবে আরও বেশক’টি সাব-প্লট। এ ছবিটি নিয়ে নুসরাত ফারিয়া বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আগে এত বিগ বাজেটের ছবি হয়নি। সব সময় দুটি হেলিকপ্টার সেটে থাকত। স্পিডবোট, জাহাজ, কী নেই!’ সুন্দরবন মানেই এক অজানা অনিশ্চয়তা। তার মতিগতি বোঝার সাধ্য কার? কখনও জোয়ারের পানি ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, আবার কখনও বা অন্য কোনো বিপত্তি। প্রতিকূল পরিবেশেও কাজ করেছেন ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে মেহের আলি চর, ডিমের চর এলাকায় ছবিটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। নতুন পরিবেশে শুটিং করতে মন্দ লাগেনি।’ লোকে বলে, আপনার কম পোশাক পরার প্রবণতা আছে। ‘দেখুন, বিতর্ক-সমালোচনা আমায় রোজ শুনতে হয়। আমি যে পোশাকে কমফর্টেবল, দেখি আমায় সুন্দর লাগে, সেই পোশাক পরি। আমি লোকের কথা ভেবে চললে এই জায়গায় আসতে পারতাম না। কে কি বললো এটা ভাবলে সফল হওয়া যায়না।’ কিন্তু অনেক সময় বিতর্ক আপনার পিছু ছাড়ে না। যেমন ‘আল্লাহ মেহেরবান’ গান নিয়ে তো সমালোচনার ঝড় উঠেছিল…। ‘আমি জানি, অনেকে এই গান নিয়ে আমি যা নই তাই বলেছিলেন। আমার মনে হয়, সবার এতটুকু বিবেকবোধ ও বিবেচনা থাকা উচিত যে এটা অভিনয়। কোনো কিছুকে আঘাত করার জন্য নয়।’

অভিনয়ের পাশাপাশি নুসরাত ফারিয়া পড়ালেখায়ও সিরিয়াস। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে পড়াশোনা নিয়ে খুব চাপ ছিল। নুসরাতের কথায়, ‘ছোটবেলায় শুধু পড়াশোনাই করেছি। স্কুলে যেতাম, পড়াশোনা করে বাসায় ফিরে আসতাম। বাবা সারাক্ষণ লেখাপড়ায় জোর দিতেন। খুব পড়েছি। রেজাল্টও ভালো ছিল। বিবিএ শেষ করে এখন আবার আইন নিয়ে পড়ছি।’ অভিনয় ও পড়ালেখার পাশাপাশি গানও গান নুসরাত। যদিও তিনি গান শেখেননি। তা হলে হঠাৎ গানের প্রতি এত আগ্রহ? নুসরত বললেন, “গান না শিখলেও স্কুলের অনুষ্ঠানে গান, নাচ, বিতর্ক সবকিছুতেই অংশ নিতাম। আমার ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক খুব ভালো লাগে। গান আমাকে সব সময়েই অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তাই ঠিক করেছিলাম গান নিয়ে বড় আকারে কিছু করব। সেই ভাবনা থেকে ‘পটাকা’ গানটি করেছি।” নতুন গানের পরিকল্পনা করছেন? ‘অনেক পরিকল্পনা আছে। খুব শিগগির নতুন একটি খবর দিতে পারব আমার ভক্তদের। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না।’

পড়ালেখা, অভিনয়, উপস্থাপনা- এত কাজের মাঝেও অবসর পেলেই বড় বোন ও তার মেয়ের সঙ্গে সময় কাটান। বোনের মেয়েকে ভালোবেসে তিনি ডাকেন ‘লালা’। তার সবচেয়ে পছন্দের অবসর যাপন হলো ‘লালা উইথ খালা’ টাইম।

Comments

comments