করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন খ্যাতিমান লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন। বৃহস্পতিবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ৬৭ বছর বয়সী এ কণ্ঠশিল্পী…।
ফরিদা পারভীন রোববার বলেন, আগের তুলনায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। শিগগিরই দ্বিতীয় বার পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেবেন বলে জানান তিনি…। রোববার তার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা রয়েছে।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর নোমানী বলেন, ‘আমার আম্মা কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। গত ৭ এপ্রিল তার করোনা টেস্ট করালে পরদিন রিপোর্টে পজিটিভ পেয়েছি। ডাক্তারের পরামর্শ… অনুযায়ী বিশেষ তত্ত্বাবধানে বাসাতেই আম্মার চিকিৎসা চলছে। কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে। মাঝেমাঝে কম বেশি হচ্ছে। তাছাড়া আর কোনো শারীরিক সমস্যা নাই। সবাই আমার মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’
ফরিদা পারভীন লালনের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন৷ ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা… এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্যে ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি। ফরিদা পারভীন ছাড়াও সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে কবরী, আবুল হায়াত, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজি সেলিম, রিয়াজসহ আরো কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
Comments
comments