চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে চীনের নভোযান ‘চ্যাং-ই ফাইভ’। পৃথিবী থেকে রওনা দেয়ার ১১২ ঘণ্টা পর লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছায় নভোযানটি। বেইজিংয়ের মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে একে মাইলফলক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
চীনের চাঁদে অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে সেখান থেকে মাটি ও পাথর সংগ্রহ করা। যা বিজ্ঞানীদের চাঁদের উৎস, গঠন ও সেখানকার আগ্নেয়গিরির অবস্থা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। এছাড়াও চাঁদের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে যানটি।
গত মঙ্গলবার, ‘লংমার্চ ফাইভ রকেটে’ চেপে রওনা দেয় চ্যাং-ই ফাইভ। চীনের হেইনান প্রদেশের ওয়েনচেং স্পেস সেন্টার থেকে ভোর সাড়ে চারটায় আট টনের ওই মহাকাশযান যাত্রা শুরু করেছিলো। ২০১৭ সালেই মূল মিশনটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে লংমার্চ-ফাইভ রকেটের ইঞ্জিনে সমস্যা থাকায় যাত্রায় বিলম্ব ঘটে।
চীন তাদের সামরিক বাহিনী পরিচালিত মহাকাশ কর্মসূচিতে বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। ২০২২ সালের মধ্যে একটি মহাকাশ স্টেশন তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এছাড়াও চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যও রয়েছে তাদের।
চীন যদি এই অভিযানে সফল হয়, তবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহের তালিকায় যুক্ত হবে। এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন তা করতে সমর্থ হয়েছিলো। চার দশক পর এবার এই অভিযান শুরু করলো চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার তথ্যানুযায়ী চীনা নভোযানটি ‘ওশান অব স্ট্রোম’ নামের এলাকা থেকে দুই কেজি নমুনা সংগ্রহ করবে। এর আগে কখনো সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। জায়গাটি বিশাল লাভার সমভূমি অঞ্চল।
চাঁদের মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহের পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীতে ফিরবে চীনা নভোযানটি।
Comments
comments