মিয়ানমারে বন্ধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম

মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কিছু জায়গায় টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দেশব্যাপী সব ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে পুঁজিবাজারের কার্যক্রম। খবর: এএফপি।

অং সান সু চিকে আটক করার পর থেকে দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নেটব্লকস নামে এক সংগঠন বলছে, স্থানীয় সময় গতকাল ভোররাতে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হয়। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গতকাল ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ব্যাংক বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুর্বল ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের কথা বলা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের ওই ঘোষণায় বলা হয়, মিয়ানমার ব্যাংকস অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্য ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের ব্যাংক বন্ধ করছে।

এদিন ইয়াঙ্গুন স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, লেনদেন স্থগিত লিখে নোটিস দেয়া হয়েছে। শেষ লেনদেন হয়েছে গত শুক্রবার। এ ছাড়া শনি ও রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। ওয়েবসাইটের নোটিসে বলা হয়, নেটওয়ার্ক কানেকশনে ত্রুটি থাকায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এছাড়া রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভিও জানিয়েছে, তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ব্যাংকগুলোও। মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়াঙ্গুনে সুপার মার্কেটগুলো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণত রাত ৯টায় বন্ধ হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে বলে বিভিন্ন সুপার মার্কেট নোটিস দিয়ে জানিয়েছে। এতে জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানিয়েছে তারা। কিন্তু অনেক মানুষকেই দোকানে ভিড় করতে দেখা গেছে। আতঙ্কিত মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গতকাল দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সেইসঙ্গে একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আটকের পর দেশটিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

Comments

comments