ঢাকাশুক্রবার , ১৩ নভেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মুসলিম সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মদিন আজ

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ১৩, ২০২০ ৮:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আজ ১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল, মুসলিম সাহিত্যিক ও কালজ্বয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু”র রচয়িতা মুসলিম সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মদিন।

মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের (১৩ নভেম্বর) এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মারা যান এবং পরে সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।

এছাড়া এখানে রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের স্ত্রী বিবি কুলসুম, ভাই মীর মোকাররম হোসেন, তার স্ত্রী বিবি খোদেজা বেগম এর সমাধী। রয়েছে মীরের ভাস্কর্য, সংগ্রহশালা, সভাকক্ষ, গ্রন্থাগার, পাঠাগার, অভ্যর্থনা কক্ষ, ভিআইপি রুম, আবাসান কর্মকর্তার কক্ষ। পরবর্তীতে কালজ¦য়ী এ সাহিত্যিকের স্মৃতি রক্ষার্থে পদমদীতে নির্মাণ করা হয়েছে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র। যেখানে প্রতিদিন জেলাসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে দর্শনার্থীরা ঘুরতে ও মীর মশাররফ সম্পর্কে জানতে আসেন।

প্রখ্যাত এই সাহিত্যিকের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রটির ভেতরে করা হয়েছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। তবে করোনার কারণে নাই তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা। শুধু মীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, মীরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২৫৩.৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলা একাডেমীর বাস্তবায়নকৃত ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদীতে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সালে পূর্নাঙ্গ রুপ পায় কালজ¦য়ী এ সাহিত্যিকের নামে নামকরণ হয় স্মৃতি কেন্দ্রটি। যার ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ২০০৫ সালের ২০ এপ্রিল এর উদ্বোধন করেন ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

মীর গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছু দিন তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। মীরের রচনা সমগ্রহের মধ্যে রত্নাবতী, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব, বিষাদ সিন্ধু, গো-জীবন, বেহুলা গীতাভিনয়, গাজী মিয়ার বোস্তানী, মৌলুদ শরীফ, মুসলমানের বাঙ্গালা শিক্ষা, বিবি খোদেজার বিবাহ, হজরত ওমরের ধর্মজীবন লাভ, হজরত বেলালের জীবনী, হজরত আমীর হামজার ধর্মজীবন লাভ, মোসলেম বীরত্ব, এসলামের জয়, আমার জীবনী, বাজিমাত, হজরত ইউসোফ, খোতবা বা ঈদুল ফিতর, বিবি কুলসুম, ভাই ভাই এইতো চাই, ফাস কাগজ, একি, টালা অভিনয়, পঞ্চনারী, প্রেম পারিজাত, বাঁধাখাতা, নিয়তি কি অবনতি, তহমিনা, গাজী মিয়ার গুলি ও বৃহৎ হীরক খনি উল্লেখ­খযোগ্য।

মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বরত বাংলা একাডেমির প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফয়সল আমিন বলেন, আধুনিক বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম মুসলিম রূপকার, কালজ্বয়ী উপন্যাস বিষাদসিন্ধুর রচয়িতা ও জমিদার দর্পণখ্যাত মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালা করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তারপরও জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ বাংলা একাডেমীর পক্ষ থেকে মীরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে এই স্মৃতি কেন্দ্রে দেশের মধ্যে প্রথম বই বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বই বিক্রয় কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হবে বলেও তিনি জানান।

Comments

comments