সাহেব দূরে থাকেন, ছিঃ ! কেমন দূর্গন্ধ নিঃশ্বাসে ;
আপনার শরীরের উটকা গন্ধে বমি আহে
আপনি কেমন তর মানুষের জন্ম গো !
কিচ্ছুই শিখাইনি মা-বাবা আপনারে ?
বারে বারে এমন কইরা গায়ে ধরেন ক্যান ?
আমিও তো আপনার মতো মানুষই ,
চেহারাডা শয়তানের লাহান করতাছেন ক্যান ?
আমি কিন্তু চিৎকার কইরা সবাইরে ডাহুম
আপনি প্রত্যেক দিন আমার লগে এমন করেন ক্যান ?
পাগলীটা শুধু একটু বাঁচার আকুতি করছিলো,
চেয়েছিলো স্থির থাকতে কিন্তু তাও পারলো না ৷
তার পরিচ্ছন্ন হৃদয় ভদ্রাসনে চলে নোংরা পুরুষের হাল -চাষ…
জীবন যুদ্ধ করছিলো শুধু শরীরটাকে বাঁচাতে ,
কুলাঙ্গার , নষ্ট পুরুষদের নষ্টামি থেকে রক্ষা পেতে
নাহ্ ! এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে শেষ রক্ষা হলো না
লন্ড-ভন্ড করে দিলো অসহায় পাগলীর দেহটাকে
অতঃপর আহত হৃদয়ের ক্ষতের যন্ত্রনায় অবশ হয়ে
পাগলীটা অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে ,
প্রিয়জন আসার ঐ আকা -বাঁকা পথটির দিকে…
আসবে কি তুমি ধেয়ে ? নেবে কি চিনে তাকে ?
যে পাগলি হওয়ার পরও হিংস্র মানবের থাবা থেকে বাঁচাতে পারেনি নিজেকে !
কবি: শাহীন সুলতানা।