দ্য লস্ট সিটি অব এক্স – এ যাবার তীব্র ইচ্ছে মানিকের। পথিমধ্যে বন্ধু রতনের সাথে দেখা। দু’জন মিলে ঠিক করলো, আবিষ্কার করবে আমাজন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা এক পুরনো সভ্যতার। নৌকায় চড়তে দেখা মিললো তাদের ফেসবুকের মিউচ্যুয়াল বন্ধু জীবনের সাথে। এবার তিনজন মিলে ঠিক করলো প্রত্নতাত্ত্বিক সব নিদর্শন খুঁজে বের করবে।
মোট এক হাজার মাইলের দীর্ঘ ভ্রমণের পর তারা এক দ্বীপের সন্ধান পেল। মজার ব্যাপার, সেখানকার লোকেরাও বাংলায় কথা বলে। তাদের সভ্যতা আমাদের চেয়ে অনেক পুরনো কিন্তু আধুনিক। এরা অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। একটুবাদে এই আদি-জাতি সবার থাকার ব্যবস্থা করে দিলো। মানিক তার এই আবিষ্কার নিয়ে আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠলো। খুশির ঠ্যালায় এবং আবেগে প্রায় দিশেহারা ভাব। আর রতন মনে করছে, “সবার আগে সে এই আবিষ্কার সরকারকে দেখাবে এবং নিজের পুরষ্কার ছিনিয়ে নেবে”। আর জীবন ভাবছে, “আমি কী অদৌ এসবের সাতে-প্যাঁচে কোথাও আছি? আমার তো দু’দিকেই লাভ”।
হঠাৎ সে এলাকায় এক মহামারী দেখা দিলো। তাই ঐ দ্বীপের সর্দার ঠিক করলো, মানিক, রতন ও জীবন কে এক ঘরে বন্দি রাখার। এবার ঘরে আটকা পড়ে তিনজন একে অন্যের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো। মানিক বলছে, “বিপদে আমরা সবাই পড়েছি। কিন্তু এই পুরনো সভ্যতা আবিষ্কারে আমার দাদু কাশেম মিয়ার ভূমিকা আছে। সবাই ভুলে গেলি? অকৃতজ্ঞের দল!”
অন্যদিকে রতন বলছে, “দেখ, আমার বাবা চায়নীজ এক ট্রাইব থেকে এই সভ্যতাকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়েছিলো। আমি অকৃতজ্ঞ নই, তুই অকৃতজ্ঞ। ম্যাপ আমার হাতে ছিলো, ওটা আমার বাবার আঁকানো”। ওদিকে জীবন কাত হয়ে একটা প্রত্নতাত্ত্বিক বাসন নিয়ে আস্তে করে বলছে, “ফেসবুকে পোস্ট করলে এর ক্যাপশন কি দেওয়া যেতে পারে ডিয়ার মানিক-রতন?”
অবশ্য দ্বীপের সর্দার এসি-রুমে বসে কোল্ড ড্রিংক্স খাচ্ছেন…
লেখকঃ মেহেদি হাসান (স্নাতক, ইংরেজি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)।
*রম্য রচনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
Comments
comments