প্রধানমন্ত্রীর ৩১দফা নির্দেশনা মোতাবেক করোনা পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য খাদ্যঘাটতি মোকাবেলায় নাসিরনগর হরিপুর জমিদার বাড়ির আশেপাশে অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত খালি জায়গায় শাকসবজি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্নস্থলের আশেপাশে পড়ে থাকা অব্যবহৃত জায়গায় ডাটা, লালশাক, পুঁইশাক, ঢেরশ, চালকুমড়ো, মিষ্টি কুমড়, ঝিংগা, ধুন্দল, বরবটি চাষ করা হয়েছে। মহামারী করোনার এই সংকট কালীন সময়ে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখার স্বার্থে নিজ দায়িত্ত্বের পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে তেভাগা নীতিতে চাষকৃত এসব শাকসবজির একটি অংশ স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ, একটি অংশ চাষাবাদের সাথে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের মধ্যে বিতরণ এবং অবশিষ্ট অংশ বিক্রি করে উৎপাদন ব্যয় করা হয়। গত ২৭ জুলাই তেভাগা নীতিতে উৎপাদিত শাকসব্জি উপকারভোগী স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মচারীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিতরণের শুভ সূচনা করেন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান । এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড অফিসার মোঃ শাহীন আলম, সহকারী কাস্টোডিয়ান মোঃ হাফিজুর রহমান, গবেষণা সহকারী মোঃ ওমর ফারুক, সার্ভেয়ার চাইথোয়াই মার্মা।
উল্লেখ্য যে, গত ৫মাস ধরে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় শাক-সবজি উৎপাদন করে আশেপাশের মানুষের মধ্যে বিতরণ করে আসছেন ; তারই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরিপুর জমিদার বাড়ির ফাঁকা জায়গায় উৎপাদিত শাক-সবজি (চাল কুমড়া, করলা, ঝিংঙ্গা, পুইশাক, কলমিশাক, ঢেরস ইত্যাদি) বিতরণ করা হয়।
Comments
comments