ঢাকাবুধবার , ৭ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তিন বছর ধরে আমতলী হাসপাতালের এক্সরে মেশিন বিকল

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ৭, ২০২০ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন তিন বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। দ্রুত এক্সরে মেশিন সংস্কার করে কার্যক্রম চালুর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০৩ সালে এক্সরে বিভাগ চালু হয়। ওই সময় থেকেই এক্সরে কার্যক্রম চালু হয়। প্রতিদিন অন্তত ২০ জন রোগীর এক্সরে করা হতো। কিন্তু এক্সরে মেশিন বিকল থাকায় গত তিন বছর ধরে তা বন্ধ। ওই হিসেবে বছরে অন্তত সাত হাজার রোগীর এক্সরে করা হয় হাসপাতালে। এক্সরে মেশিন বিকল থাকায় গত তিন বছরে অন্তত ২১ হাজার রোগী এক্সরে সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এদিকে এক্সরে মেশিন বিকল থাকায় সাধারণ রোগীদেও বে-সরকারী ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে যেতে হয়। ওই সেন্টারে রোগীদের উচ্চ মুল্যে এক্সরে করাতে হচ্ছে। সরকারীভাবে ৭০ টাকার এক্সরে বে-সরকারী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে ডিজিটারের নামে ৪’শ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছে সাধারণ রোগীরা। দ্রুত এক্সরে মেশিন সংস্কার করে রোগীদের এক্সরে সেবা চালু করার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এক্সরে মেশিন কক্ষে এয়ারকুলার নেই। কক্ষ শ্যাত-শ্যাতে। এক্সরে মেশিন নষ্ট।
রোগী শাহ-জাহান বলেন, ৭০ টাকার এক্সরে ৪’শ টাকায় করেছি। হাসপাতালের এক্সরে মেশিন সচল থাকলে আমার এতো টাকা গুনতে হতো না। দ্রুত এক্সরে মেশিন চালুর দাবী জানাই।

সাওদা বলেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিন নষ্ট তাই বাহিরের বে-সরকারী ডায়াগনিস্টিক সেন্টার থেকে এক্সরে করিয়েছি। হাসপাতালের থেকে কয়েকগুন টাকা বেশী দিতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দ্রুত আমতলী হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন প্রদানের দাবী জানাই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (রেডিওগ্রাফি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত তিন বছর ধরে এক্সরে মেশিন বিকল হয়ে পড়ে আছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন কাজ হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের এক্সরে বিভাগ পরিদর্শন করে চাহিদা দিয়ে এসেছি। অল্প দিনের মধ্যেই এক্সরে মেশিন মেরামত করে দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, বিকল এক্সরে মেশিন সংস্কারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফায় চিঠি দিয়ে অবগত করেছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

Comments

comments