মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাবে এখনো দেশের কোনো শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। তেমনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত কিছু বিদেশী শিক্ষাথীরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারনে বর্তমানে ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রায়ই ০৮ মাস বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও (ইবি)।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক দপ্তরের কার্যক্রমে বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষাথরা। তাদের নিজ নিজ থিসিস, বিভিন্ন পেপার জমা, ভাইবা এছাড়াও মানোন্নয়ন পরীক্ষা কিংবা রেজাল্ট প্রকাশের মতো সীমিত কিছু একাডেমিক জটিলতার কারনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের দেশে ফেরা। যার ফলে কোনো ক্লাস -পরীক্ষা ছাড়াই ক্যাম্পাসে অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। এতে নিজেরা যেমন পড়েছে আর্থিক সংকটে তেমনি দুশচিন্তায় আছেন বিদেশে অবস্থানরত তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাই অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে তারা ফিরতে চান নিজ নিজ দেশে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর থেকেই অনেক বিদেশী শিক্ষাথীরাই তাদের নিজ নিজ সকল কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরে গিয়েছেন৷ কিন্তু কিছু শিক্ষাথীরা তাদের নিজ নিজ বিভাগের কোর্সসমূহের জটিলতার কারনে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছে। তবে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও স্বাস্থ্যকর খাবার, সুচিকিৎসা ছাড়াও নিজস্ব পরিবহনের অসুবিধায় ভোগান্তিতে রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের মুহামেদ বশির বলেন, “মার্চ থেকে আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ। আমরাও সে থেকে অলস সময় পার করছি এবং এখানে নানা আর্থিক সংকটে ভুগছি। আমাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। বাইরে থাকা অনেক পরিবার আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকায় তারাও যথেষ্ট অর্থ পাঠাতে সক্ষম হচ্ছেন না। ইতোমধ্যে আমাদের অন্যান্য ফরেইন বন্ধুরা দেশে ফিরে গিয়েছে৷ বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানায় আমাদের সমস্যাগুলো দেখার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, বর্তমানে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, সোমালিয়া ও নাইজেরিয়াসহ দেশের প্রায় ৪০ জন বিদেশী শিক্ষাথী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অধ্যয়নরত আছেন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজ্রিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা ইউজিসি থেকে একটি চিঠি পেয়েছি ; তাতে ভাইবা বা অন্যান্য পরীক্ষা অনলাইনে পাওয়া যাবে এমনটি আশ্বাস পেয়েছি। ইতোমধ্যে ফরেইন স্টুডেন্টদের নিয়ে একটি সংশ্লিষ্ট সেল উপাচার্যের সঙ্গে মিটিংও করেছেন। সেখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে শেষ করা যায়; সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় উপচার্য ড. শেখ আব্দুস সালাম এই বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে ইউজিসি কর্তৃক একটি চিঠি পেয়েছি। সে আলোকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Comments
comments