ঢাকাশনিবার , ৭ নভেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উপকরণের লাগামহীন উচ্চমূল্য; সংকটে কিশোরগঞ্জের বেকারি শিল্প

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ৭, ২০২০ ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ জেলায় বেকারি পণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানা গেছে। করোনাকালে উপকরণের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির ধাক্কায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। উৎপাদন খরচ ও পণ্য বিক্রির মধ্যে লাভ (মুনাফা) কমে যাওয়ায় বন্ধের উপক্রম হয়েছে বেকারি শিল্প। এ অবস্থায় বেকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প দেখছেন না কারখানা মালিকরা। ফলে কারখানা চালানো নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তারা।

স্থানীয় বেকারি মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে লকডাউনে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও আগের মতো ব্যবসা নেই বেকারি পণ্যের। মালিকরা সংকট কাটাতে শ্রমিক ছাঁটাই করলেও ব্যবসায় মন্দা কাটছে না। এর ওপর দফায় দফায় বেকারি উপকরণ কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে ফ্যাক্টরি টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাজারদরে উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রি লাভজনক না হওয়ায় কারখানা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বেকারি পণ্য উৎপাদনের মূল উপকরণ পামঅয়েল (ভোজ্যতেল), ডালডা, চিনি, ময়দা ও ডিম। এসব উপকরণের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ১৮৬ কেজির এক ড্রাম পামঅয়েল তেল ১১ হাজার ৫০০ টাকার স্থলে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা, ১৬ কেজির এক কার্টন ডালডা ১ হাজার ২০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৫২০ টাকা, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি ২ হাজার ৭০০ টাকার স্থলে ৩ হাজার টাকা, ৭৩ কেজির এক বস্তা ময়দা ২ হাজার ১০০ টাকার স্থলে ২ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১০০ মুরগির ডিম ৬০০ টাকার স্থলে ৮৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

এর বাইরেও রয়েছে নানা ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য (ফুডমেড) ও পণ্যের প্যাকেজিং সামগ্রী, যার মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রয়েছে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও শ্রমিক মজুরির মতো মোটা অঙ্কের খরচ। ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রি লাভজনক হচ্ছে না। কারণ পাঁচ বছর আগে যে দাম ছিল, সেই দামই রয়ে গেছে পণ্যের। ফলে পণ্যের বিক্রয় মূল্য দিয়ে কারখানা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় কারখানা মালিকরা বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

সূত্র মতে, কিশোরগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১১৫টি বেকারি কারখানা রয়েছে। উপকরণের চড়া মূল্যের কারণে বেশ কয়েকটি কারখানা কোনো রকমে সচল রয়েছে। অন্য কারখানাগুলো সচল থাকলেও লোকসান থেকে বঁাচতে শ্রমিক ছঁাটাই করা হয়েছে। বেকারি পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায় অনেক কারখানা উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। তারপরও সংকট কাটছে না কারখানাগুলোর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কনফেকশনারির মালিক বলেন, লোকসানের বোঝা বইতে বইতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। তাই বেকারি শিল্প টিকিয়ে রাখতে কাঁচামালের মূল্য কমাতে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন।

কিশোরগঞ্জ বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি আজমল খান বলেন, করোনাকালের ব্যবসায়িক মন্দা ও কাঁচামালের উচ্চমূল্যের কারণে কারখানাগুলো মহাসংকটে পড়েছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় পণ্য বিক্রি আয় দিয়ে পোষাচ্ছে না কারখানা মালিকদের। অনেক ক্ষেত্রে লোকসান গুনছে কারখানাগুলো। যার ফলে সিংহভাগ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়বে সহস্রাধিক শ্রমজীবী মানুষ, যা কারও জন্য কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, বেকারি শিল্প রক্ষায় দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।

Comments

comments