কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অনুমোদনহীন ক্লিনিক গুলো নিম্নমানের সেবা দিয়ে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায় করতো। কখনো কখনো চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস ব্যবহার করে রোগীদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতেন। আবার প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করতেন ক্লিনিকের মালিকরা। এতোদিন প্রশাসনে নাকের ডগায় পা দিয়ে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণা করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল একাধিক ক্লিনিক।
-
সরকারি নির্দেশনা মানতেন না মালিকরা
-
অনেকের পরিবেশ ছাড়পত্র নেই
-
নিম্নমানে সেবায় বাড়তি বিল নিতো তারা
-
পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের
জানা গেছে, কটিয়াদী হাসপাতালকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। সেখানে প্রতিনিয়তই রোগীদের সাথে প্রতারণা করা হতো। এমনকি অধিকাংশ ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনষ্টিকের লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রার ছাড়াই ক্লিনিক কার্যক্রম চালাতো ক্লিনিকের মালিকরা।
মঙ্গলবার বিকেলে ওইসব ক্লিনিকে সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন কটিয়াদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সহযোগীতা করেন কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রিপন দেবনাথ, কটিয়াদী মডেল থানা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর স্যানিটারী ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম প্রমুখ।
ক্লিনিক গুলো হলো, কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫৫ হাজার, মডেল হেলথ কেয়ারকে ২০ হাজার, শারমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার, কটিয়াদী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার ও মাতৃছায়া ডেন্টাল কেয়ারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পাঁচজন ক্লিনিক মালিককে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
Comments
comments