কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা জর্জ ইনস্টিটিউশনের পাশের একটি জমি থেকে উদ্ধারের দশ ঘন্টার পর অজ্ঞাত যুবতীর মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের ইমাম হোসেনের মেয়ে নুরুন্নাহার (২০)। কলম২৪ ডট কমে সংবাদ প্রকাশের পর যুবতীর স্বজনরা তার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নুরুন্নাহার ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তার একটি ছেলে শিশু সন্তান রয়েছে। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ সদরে অবস্থিত তার বোনের বাসায় আসেন। পরে তার সন্তানটিকে বোনের বাসায় রেখে বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাসায় ফিরেননি। এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, নুরুন্নাহার কিছুদিন আগে প্রেম করে রানা নামের এক যুবককে বিয়ে করে। পরবর্তীতে বিয়ের কয়েক মাস পর তার পরিবার জানতে পারে তার স্বামী রানা মাদকের সাথে জড়িত। এরপর নুরুন্নাহারকে তার পরিবার নিয়ে যায়। নুরুন্নাহার চলে আসার কিছুদিন পর অতিরিক্ত মাদকসেবন করার ফলে রানার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট এলাকার বাছির নামের আরেক যুবকের সাথে নুরুন্নাহারের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ হতো না নুরুন্নাহারের।
এদিকে শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলম২৪-এ ‘কটিয়াদীতে অজ্ঞাত যুবতীর মরদেহ উদ্বার’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে নিহতের ভাই আল-আমিন কলম২৪ ডট কমের সাথে যোগাযোগ করলে পুলিশের কাছে বিষয়ে খুলে বলার জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কলম২৪-এ পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিককে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলীকে মুঠোফোনে অবহিত করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলম২৪-এর সাথে কথা বললে কলম২৪ নিহতের স্বজনের সাথে যোগাযোগের সুযোগ করে দেন। এরপর পুলিশ নিহত নুরুন্নাহারের পরিবার শনাক্ত করে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী কলম২৪’কে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।’