ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরষের মধ্যে ভূত, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনেই প্যাথলজির জঞ্জাল

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ৩, ২০২০ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্বাস্থ্যখাত- বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গা হিসেবে পরিগনিত হয় ধনী গরিব নির্বিশেষে। আর সেই ধনী গরিবের আস্থাকে পুঁজি করে কিশোরগঞ্জের কিছু ব্যবসায়ীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ২০ গজের মধ্যেই গড়ে তোলে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাব। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তবরূপ শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এ মেডিকেল কলেজে গড়ে প্রতিদিন ৬/৭শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের মেডিকেল কলেজে কর্মরত ডাক্তার ও অবস্থানরত দালালরা বিভিন্ন ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য উৎসাহিত করেন।

সরজমিনে দেখা যায়, শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেইটের সামনেই গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কিছু অদূরেও গড়ে উঠেছে এমন প্রতিষ্ঠান। জেলা শহরের বটতলায় অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে মেশিন টিনের চালার ঘরে। আর সে ঘরেই চলছে এক্সরের কার্যক্রম। লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীনের নামেও ব্যবসায়ীরা গোপনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের ভূমিকা সেখানে বোবা মানুষের মতো। দেখেও দেখার কেউ নেই।

জানা যায়, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার দরুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কাছেই বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করে। স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে রোগীরা ঘনচক্করে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তুলনায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বেসরকারি ক্লিনিকে ৮ থেকে ১০ গুণ বেশি। কিশোরগঞ্জে বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ৬০টি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, হাসপাতাল ও ল্যাব রয়েছে। গড়ে উঠা বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবে রয়েছে অব্যবস্থাপনা। অনেক সময় হাসপাতালের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারদের দেখাতে চাইলে তারা ওইসব রিপোর্ট দেখতে চান না।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কতটুকু দূরে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠতে পারে তার কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। নীতিমালা না থাকার দরুন কেউ যদি গেইটের সামনেও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও ল্যাব গড়ে তোলে তার পরেও কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই নীতিমালা তৈরী করবে।

Comments

comments