ঢাকাশনিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বন্ধুর বাবাকে চড়, প্রতিশোধ নিতে হত্যা

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ৫, ২০২০ ৪:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঘটনাটি ২০১৫ সালের। কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার এলএসডি গুদামের পশ্চিমে সোমবার (২২ জুন) দুপুরে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ নজরুল ইসলামের ফিসারী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এদিনই গ্রাম পুলিশ মো: আমিন মিয়া নিকলী থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। জালাল মিয়া অজ্ঞাত লাশের মামলার কথা মানুষের মুখে শুনে থানায় গিয়ে সনাক্ত করে এ লাশ তার পুত্র হেলালের (১৫)। হেলাল নিকলী উপজেলার দামপাড়ার বাসিন্দা।

তারপর একে একে পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করেন এবং মামলাটি পিবিআইতে হস্থান্তর করেন।

শুরু হয় পিবিআইয়ের তদন্ত, বের হয়ে আসে আড়ালে থাকা হত্যাকারীরা। জানা যায় হত্যার পিছনের কাহিনী। গ্রেফতার হয় নিকলী উপজেলার নাগারছিহাটি গ্রামের মমিন মিয়ার পুত্র তাজুল ইসলাম (২১), দামপাড়া গোয়ালহাটি গ্রামের মৃত নবী সরদারের পুত্র মাহাজুল (১৯), ইসলামপুর গ্রামের মৃত মীর হোসেনের পুত্র শরীফুল ইসলাম। তাজুল ইসলাম @ তাজু (২১), শরিফুল ইসলাম(১৯), মাহাজুল(১৯) এর সাথে হেলালের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাজুল ইসলাম @ তাজু ও হেলাল নিকলী দামপাড়া ইসরাইলের হাঁসমুরগীর খামারে কাজ করতো। শরিফুল রাজ মিস্ত্রী এবং মাহাজুল কৃষি কাজ করতো। একই হাঁসমুরগীর খামারে কাজ করার কারণে হেলালের সাথে তাজুলের ঘনিষ্ঠতা একটু বেশিই ছিল। হেলালকে হত্যার ৭/৮ দিন পূর্বে তাজুলের দুই মাসের বকেয়া বেতন ১২ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য তাজুলের বাবা মমিন মিয়া তার নিজ গ্রাম ইসলামপুর(নাগারছিহাটি) থেকে দামপাড়া নিকলীতে আসে। মমিন মিয়া খামারে ইসরাইলকে না পেয়ে ০২ মাসের বকেয়া বেতন হেলাল মিয়া থেকে দাবী করে। হেলাল মমিন মিয়াকে মালিক ইসরাইলের নিকট পাওনা টাকা চাওয়ার জন্য বলে। কিন্তু মমিন মিয়া একাধিকবার পাওনা টাকা হেলালের নিকট চাওয়ার কারণে উত্তেজিত হয়ে তাজুল ইসলামের বাবা মমিনের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে হেলাল উত্তেজিত হয়ে তাজুলের বাবাকে দু’টি চড় থাপ্পর মারে। তখন তাজুল খামারে ছিলেন না। পরে তাজুল তার বাবা মমিন থেকে হেলালের চড় থাপ্পর মারার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে এবং অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে। বিষয়টি নিয়ে তাজুল তার বন্ধু শরিফুল ও মাহাজুলের সাথে আলোচনা করে হেলালকে হত্যা করে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুন মাসে তাজুল, মাহাজুল এবং শরিফুল দামপাড়া বাজার হইতে হেলালকে নিকলী হতে খারাপ মেয়ে নিয়া আসার প্রলোভন দেখিয়ে পুকুরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে জাপটে ধরে পানিতে ফেলে মাথা ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে হেলালের পরিধেয় লুঙ্গি দিয়ে পা, শার্ট দিয়ে হাত বাধে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লুঙ্গি এবং শার্টের ভিতরে ইট ও পাথরের টুকরা ঢুকিয়ে লাশ পানির নিচে ডুবিয়ে দেয়। ০৩ দিনপর লাশ ভাসিয়া উঠিলে থানা পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করে। তাৎক্ষনিক লাশের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসাবে গ্রাম পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে। মৃতের বাবা ও ভাই রবিন থানায় গিয়ে লাশের গায়ে কাপড় চোপড় দেখে হেলাল এর লাশ বলে সনাক্ত করেন।

Comments

comments