ঢাকারবিবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নবাবগঞ্জে শীত আর কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে কৃষক

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ২৭, ২০২০ ৫:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমের বীজতলা তৈরি করতে কমর বেধে মাঠে নেমে কৃষক। প্রথমদিকে শীত আর কুয়াশা কম থাকায় বীজতলার পরিবেশ ভাল ছিল। বর্তমানে বৈরি আবহাওয়ার কারনে ঠান্ডা আর কুয়াশার কারনে বীজতলা গুলোতে অঙ্কুরিত বীজ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কৃষক। অনেক ধান বীজতলাতেই গজানোর আগে মরে গেছে।

এ বিষয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বীজতলা রক্ষা করতে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলা রক্ষা করতে জিরো পলিথিনের ব্যবহার ও কুয়াশা প্রতিরোধে ঔষধ স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি আরো জানান বীজতলা গুলো এখন ভাল রয়েছে।

এদিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে খাদ্যশস্যের ভন্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষে এখন বোরো বীজতলা তৈরি ও চারা পরির্চযায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলার চারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। চারা বাঁচাতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে এখানকার কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে শুরু করে সূর্যের দেখা পাওয়া পযর্ন্ত বোরো বীজতলায় কৃষকদের আনাগোনা। কেউ কেউ বোরো বীজতলার চারা বাঁচাতে চারার ওপর পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিচ্ছেন, কেউ চারার ওপরে জমে থাকা শিশিরগুলো ফেলে দিচ্ছেন, যেন চারাগুলো ভালো থাকে। এমন পরিস্থিতে মাঠ পর্যায়ে পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। তবে এমন কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকবে । উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২৫০ হেক্টর অর্জন১৩০০ হেক্টর জমিতে। কথা হয় উপজেলার ববিভিন্ন গ্রামের বেশকিছু কৃষকের সঙ্গে।

তারা বলেন, কয়েকদিন থেকে ঘনকুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বীজতলার চারা বাঁচাতে আমাদের চারা পলিথিন কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে। এছাড়াও বীজতলার পানি প্রতিদিন বদল করে দিচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত চারাগুলো ভালো রয়েছে। তবে ঠান্ডা ও কুয়াশা আরও কয়েকদিন ধরে পড়তে থাকলে চারাগুলো বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। বোরো চারা আমরা বাঁচাতে না পারি, তাহলে বোরো আবাদ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।

Comments

comments