বরইগুলি দেখতে ঠিক আপেলের মত। উপরের অংশে রয়েছে হালকা সিঁদুর রং। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। ফলটি রসালো ও মিষ্টি। নাম বল সুন্দরী। বাংলাদেশের কৃষকরা বল সুন্দরী কুল চাষে ঝুঁকছে। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় এবারই প্রথম বল সুন্দরী চাষ করেছে এক কৃষক। পাকুন্দিয়া উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামের শফিকুল আলম এক বিঘা জমিতে বল সুন্দরী কুল চাষ করেন। জেলায় এ প্রথম কেউ বল সুন্দরী কুল চাষ করলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শফিকুল আলম ১ বিঘা জমিতে ২০০টি কুলের চারা রোপন করেন। রোপনের ৭ মাস পর কুল আসায় আনন্দে আত্মহারা। প্রতিটি কুল গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি বড়ই হয়েছে। বাগান থেকে ১৫০ কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে এসব কুল। কীটনাশক মুক্ত ফল হওয়ায় ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছে এ ফল কেনায়। প্রথম বছরেই ভাল ফলন পেয়ে আগামীতে আরও বেশি ফলনের আশা করছে কৃষক। এমনকি কুলের আকর্ষনীয় রং ও আপেলের মত সাইজ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
কৃষক শফিকুল আলম বলেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার হামিমুল হক সোহাগের পরামর্শে আমি বল সুন্দরী কুল চাষে সাহস, আগ্রহ দেখাই এবং বিনিয়োগ করি। আশা করি আমি পর্যাপ্ত মুনাফা লাভ করবো এবং অন্যান্য কৃষক ভাইদেরকে বলব তারাও যেন এ বল সুন্দরী চাষ করে। এ কুল চাষে তারা পর্যাপ্ত মুনাফা লাভ করতে পারবে। আমি মনে করি বেকারত্ব ঘোঁছাতে এ কুল চাষ ভূমিকা রাখবে।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ বলেন, বল সুন্দরী কুলের আকৃতি তুলনামূলকভাবে অনেকটা বড়। ক্ষেতেও সুস্বাদু এবং বাজার মূল্যও বেশ ভাল পাওয়া যাওয়ায় বল সুন্দরী কুল কৃষকদের কাছে একটি জনপ্রিয় জাত হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। রোপনের ১ম বৎসরেই ফল পাওয়া যায়। যা বিক্রি করে বাগান স্থাপনের খরচ উঠানোসহ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
Comments
comments