কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামে স্কোয়াশ সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আলমগীর। এই উপজেলায় প্রথম বারের মতো স্কোয়াশ চাষ করছেন এই কৃষক। এতে কৃষিতে যোগ হলো আরেকটি নতুুুন সবজি স্কোয়াশ।
-
প্রথম বারের মতো চাষ হলো স্কোয়াশ
-
৬৫ দিনেই ফলন ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষক
-
উৎপাদন খরচের তুলনায় কয়েক গুণ লাভ
জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলায় ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করা হয়েছে। এই জমিতে ১৫টি ব্যাডে রোপণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪’শ চারা। ফলনটি মাত্র ৬৫ দিলে ঘরে তুলা যায়। এখন পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। স্কোয়াশ অনেকটা দেখতে শশা আকৃতির। এটি শশার মতো লম্বা হলেও রং মিষ্টি কুমড়োর মতো। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এছাড়া এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর ৩০ শতাংশ জমিতে নতুন সবজি স্কোয়াশ চাষের যাত্রা শুরু করেন। প্রতিটি চারায় ৮ থেকে ৯টি স্কোয়াশ ধরেছে। সে অনুপাতে ওই জমিতে আনুমানিক সাড়ে ২১ হাজার স্কোয়াশ উৎপাদন হতে পারে বলে আশাবাদী ওই কৃষক। প্রতিটি স্কোয়াশের ওজন ৫শ’ থেকে ৭’শ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা উৎপাদন খরচের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর এর স্কোয়াশ জমি। গতকাল দুপুরে তোলা ছবি।
ছবি : কলম২৪
উপজেলায় প্রথম স্কোয়াশ চাষি আলমগীর জানান, স্কোয়াশ চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ার কথা শুনে ‘আমার মধ্যেও আগ্রহ জাগে। পরে ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করি। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে স্কোয়াশ বাজারে বিক্রি করতে পারবো। আশা করি লাখ টাকারও বেশি স্কোয়াশ বিক্রি করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।’