কিশোরগঞ্জ পৌরবাসী অতিষ্ট রয়েছে মশার যন্ত্রণায়। ঘরে এবং বাইরে কোথাও শান্তি নেই মশার কামড়ের যন্ত্রণায়। বেড়েছে মশার উপদ্রব, ঘরে থাকা দায়। বিপাকে পড়েছে কিশোরগঞ্জ পৌরবাসী। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দুই ধরনের দাবি পাওয়া গেছে। সাধারণ নাগরিকরা বলছে, মশা বেড়েছে, মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। হয়ে উঠেছে মশার স্বর্গরাজ্য।
পৌর শহরের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে সেখানে মশা জন্মাচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নালা, ডোবাগুলো নোংরা পানি দ্বারা ভর্তি থাকায় এবং সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে সেখানে মশা জন্ম নিচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন পৌরবাসী।
পৌর এলাকার গাইটালের বাসিন্দা রাকিব মাহবুব বলেন, এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। অনেকদিন যাবত এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। মশার উপদ্রবে ঘরে থাকা যায় না।
রাতে মশা। দিনেও মশা। মশার চরম অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কোথাও এক মিনিটও নিরাপদে বসা যাচ্ছে না। আক্ষেপ করে বলছিলেন পৌর এলাকার খরমপট্টির বাসিন্দা আরিফুর রহমান।
পৌর এলাকার বাসিন্দা আসিফ আদনান ত্রিশানু, শহিদুল্লাহ, মানিক, আজহার বলেন, ২৪ ঘন্টাই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে আছি। একদিনও দেখলাম না মশার ওষুধ ছিটাতে।
পৌর এলাকার হারুয়া এলাকার বাসিন্দা জাকিয়া খানম বলেন, এখন দিনের বেলাতেও মশার কামড় সহ্য করতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বেশি কষ্টে আছে। শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যায় পড়তে বসলে মশার যন্ত্রনায় পড়তে পারছে না। মশার কয়েল জ্বালিয়ে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ কয়েল জ্বালিয়ে রাখলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া বলেন, মশার ওষুধ নেই। এমনকি ঢাকাতেও নেই। মশার ওষুধের জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি সামনের সপ্তাহের মধ্যেই ওষুধ পেয়ে যাব এবং এ কষ্ট থেকে পৌরবাসী নিস্তার লাভ করবে।