কিশোরগঞ্জে এই প্রথম চাষ হলো উচ্চফলনশীল বারি আলু- ৬৩। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ জাতের আলু উদ্ভাবন করেন। উন্নতমানের এ আলু সৌভাগ্যের প্রসূতি হয়ে ধরা দেবে কৃষকের কাছে এমনই ধারণা কৃষি গবেষকদের। হোসেনপুর উপজেলার চরজামাইল ব্লকে এই প্রথমবার বারি আলু-৬৩ চাষ করা হয়েছে। কৃষক মোঃ মনতাজ উদ্দিন, রিপন মিয়া ও নজরুল ইসলাম তাদের প্রায় দেড় একর জমিতে এই আলু চাষ করেছেন এবং অত্যন্ত ভালো ফলন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। হিসেব করে দেখা গেছে প্রতি হেক্টরে গড়ে প্রায় ৪০ টন ফলন হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা উপ-কেন্দ্র সূত্র জানায়, এ আলু গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়েট টাইপ এবং গড়ে ৪-৬টি কান্ড থাকে। গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা কম। কান্ড সবুজ মাঝারি ধরণের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি মধ্যম। আলুগুলো গোলাকার থেকে খাট ডিম্বাকৃতি ও বড় আকারের। চামড়ার রং আপেলের মত লাল ও মসৃন। শাসের রং হলুদ। চোখ মধ্যম গভীর এবং চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়। এর জীবন কাল ৯০-৯৫ দিন। গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৪২.২৯ টন। সমগ্র বাংলাদেশেই মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ মাসে এ আলু চাষের উপযুক্ত সময়।
কৃষকরা জানায়, কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা উপ-কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আমাদের এ আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ফলনও পেয়েছি ভালো। আমরা নতুন এ আলুর জাত চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক আলোর মুখ দেখতে পারব বলে আশা করছি।
কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা উপ-কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পুরাতন ডায়মন্ড আলুর জাত চাষাবাদে নিষেধ করছে। ডায়মন্ড জাতটি রোগাক্রান্ত হয় এবং কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়। বারি আলু- ৪১, ৪৭, ৫৩ ও ৬৩ চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করছি। এর মধ্যে বারি আলু- ৬৩ উন্নতমানের উচ্চফলনশীল। এ আলু চাষে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
Comments
comments