ঢাকাশনিবার , ২০ মার্চ ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে পেঁয়াজের রঙিন রঙে সুখি হবার স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ২০, ২০২১ ৮:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে পেঁয়াজের রঙিন রঙে সুখি হবার স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম উর্ধ্বমুখি হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের মধ্যে। আসন্ন রমজান উপলক্ষে সরকারিভাবে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানবে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতাদের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবে এবং রমজানে সাধারণ মানুষ স্বল্প মূল্যেই পেঁয়াজ পাবে।

পেঁয়াজ চাষীরা বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এবার তারা স্বপ্ন দেখছে মুনাফার। তাদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখলেই বুঝা যায় তাদের মধ্যে আনন্দের হাওয়া বইছে। জেলার কৃষকদের প্রতিনিয়তই পরামর্শ প্রদান করছে কৃষি কর্মকর্তারা। অল্প টাকায় মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে যেন পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য না হন সেক্ষেত্রেও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫৫ হেক্টর। ইতোমধ্যে ৭৩৬ হেক্টর আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। কমবেশি প্রায় সব কৃষি পরিবারে রয়েছে পেঁয়াজ। চাষটি ক্রমে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকুন্দিয়া উপজেলার আঙ্গিয়াদী ব্লকের দাওরাইট গ্রামের কৃষক মোঃ কবির হোসেন বলেন, এ বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে বারি- ১ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। ভালো ফলন পাব আশা করছি। খরচ উঠিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারব। অনেক সময় পেঁয়াজের সঠিক মূল্য আমরা পাই না। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বঞ্চিত হই। এমন যেন না হয়। কৃষিকাজই আমাদের সম্বল। এ কাজ করেই আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকি।

জেলার অনেক কৃষকরাই জানান, সরকারিভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই। যে কারণে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারি না। অনেক সময় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হই। ফসল তোলা শেষ হলে বাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হয়। ঘর বারান্দার কোথাও খালি জায়গা থাকে না। এমনকি শোবার ঘরের খাটের নিচেও পেঁয়াজ রাখতে হয়। সরকারিভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হলে আমরা সঠিক মূল্য পাব।

পাকুন্দিয়া উপজেলার আঙ্গিয়াদী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ বলেন, মশলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় এবং ঐ সমস্ত পেঁয়াজ যেন যথাযথভাবে কৃষকের বাড়িতে সংরক্ষণ করতে পারে সে বিষয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ সাইফুল আলম জানান, এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হবার আশা করছি। পেঁয়াজ চাষীরা মুনাফা করবে বলে ধারণা করছি।

Comments

comments