মরুভূমির মাঝে একটি গুহা। নাম ‘কেভ অব হরর’ অর্থাৎ আতঙ্কের গুহা। জনমানবহীন মরুভূমির ওই গুহা বহন করে আসছে এক মর্মান্তিক ইতিহাস।` মরুভূমির শুষ্ক বায়ুতে মমি হয়ে সংরক্ষিত রয়েছে সেই ইতিহাসের কিছু অংশ। এক সময় রোমান সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইহুদিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল।] সেই বিদ্রোহে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রচুর ইহুদি। বহু ইহুদিকে এক গুহার মধ্যে মৃত্যুর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ≠বাইরে থেকে আটকে দেওয়া হয়েছিল গুহার মুখ। অনাহারে থাকতে থাকতে এক এক করে বন্দি বিদ্রোহীদের সকলেই মারা যান।
১৯৬০ সালে এই গুহা থেকে এমন ৪০টি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। সেই কঙ্কাল গবেষণা করেই ইহুদি বিদ্রোহীদের° ওই মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানা যায়। আর সেই থেকেই গুহার নামকরণ হয় ‘কেভ অব হরর’। ওই যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ ইহুদি মারা গিয়েছিলেন। মৃত্যুভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন অনেকে।√ গুহাটি ইসরাইলের জুডিয়ান মরুভূমিতে অবস্থিত। জুডিয়ান মরুভূমিতে এই যুদ্ধ হয়েছিল ১৩২ এবং ১৩৫ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, গুহার পাথরের ভাঁজে ভাঁজে এমন আরো মর্মান্তিক ইতিহাস চাপা পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি সেখান থেকে উদ্ধার হল একটি শিশুর কঙ্কাল।^ যার বয়স ৬ হাজার বছর। গুহার মধ্যে দুটো পাথরের ভিতরে চাপা পড়েছিল কঙ্কালটি। সম্প্রতি একদল গবেষক পাথর সরিয়ে সেটি উদ্ধার করেছেন। গবেষণার পর জানা গিয়েছে,> সেটি এক বালিকার কঙ্কাল। মৃত্যুর সময় যার বয়স ছিল ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তার গায়ে চাপা দেয়া ছিল কম্বলের মতো মোটা চাদর.। এই চাদর দিয়ে তার মাথা এবং বুক চাপা দেয়া থাকলেও পা দু’টি অনাবৃতই ছিল। এত বছর আগে এই ধরনের চাদরের ব্যবহার থেকে বিস্মিত গবেষকরা।^
Comments
comments