কিশোরগঞ্জের হাওরে আচমকা গরম বাতাসে সবুজ রংয়ের ধানক্ষেত ধূসর সাদা হয়ে গেছে। গত রবিবার (০৪ এপ্রিল) রাতে প্রায় তিন ঘন্টার কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসেই মূলত হাওরের বেশিরভাগ বোরো জমির ধান ধূসর সাদা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু হাওর নয় কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার ২৫ হাজার হেক্টর বোরো জমির ধান একেইভাবে আক্রান্ত হয়েছে। প্রকৃতির এ নির্মম পরিহাসে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে এবং ফলনও অনেক ভাল। কিন্তু গত রবিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসে কিশোরগঞ্জে হাওরের ইটনা উপজেলার রায়টুটী, বাদলা, বড়িবাড়ী ইউনিয়ন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, করিমগঞ্জ উপজেলা, হোসেনপুর উপজেলা ও তাড়াইল উপজেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, এর আগে কৃষকরা শিলাবৃষ্টি কিংবা আগাম বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হলেও গরম বাতাসে বোরো জমি নষ্ট হতে প্রথম দেখেছি। এ রকম ক্ষতি হওয়ায় আমরা দিশেহারা। প্রায় তিন ঘন্টার কালবৈশাখী ঝড় ও গরম বাতাসে কিশোরগঞ্জের হাওরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২৫ হাজার হেক্টর বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে।
রাজী গ্রামের কৃষক আতাউর বলেন, আর ১০-১৫ দিন পরে ধান কাটার কথা ছিল। কিন্তু গরম বাতাসে ধান সব নষ্ট হয়ে গেছে ।
উত্তর রাজী গ্রামের বুদু মিয়া জমিতে দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ১৪ কাটা জমিতে ধান লাগাইছিলাম, কিন্তু গরম বাতাসে আমার সব শেষ করে দিছে। এখন ধান কাটার আর ইচ্ছে নাই।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি আক্রান্ত হয়। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চুড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে।
Comments
comments