ঢাকামঙ্গলবার , ২৮ এপ্রিল ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে রেণুপোনা উৎপাদনে চরম বিপর্যয়, কোটি টাকার ক্ষতি

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ২৮, ২০২০ ৭:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। এ অবস্থায় দাম কম, শ্রমিক ও পরিবহন সংকটের কারণে কিশোরগঞ্জের হ্যাচারিগুলোয় রেণুপোনা উৎপাদনে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়। বেচাকেনা কমে গেছে ৮০ শতাংশ। প্রায় বন্ধ হয়ে আছে ১১টি মৎস্য হ্যাচারি। এসব হ্যাচারিতে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন হ্যাচারি মালিকরা।

হ্যাচারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত রেণুপোনা উৎপাদনের ভরা মৌসুম। দেশের মোট চাহিদার ১০ শতাংশ রেণুপোনা কিশোরগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়। চলতি বছরে ৬ হাজার কেজি রেণুপোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ভরা মৌসুমে হ্যাচারিতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোকসানে পতিত হবেন । এতে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রেণুপোনা উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে কিশোরগঞ্জ। জেলায় ১১টি হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন হচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৯ শত ৭০ কেজি রেণু পোনা উৎপাদন হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের হ্যাচারিগুলো রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প, বিগহেড, থাই সরপুঁটি, মিরর কার্প, জাপানি, চিতল, আইড়, তেলাপিয়া, মনোসেক্স তেলাপিয়া, শিং, কৈ, থাই কৈ, পাঙাশ প্রভৃতি মাছের পোনা উৎপাদন করে। জেলার ৫-৬ লাখ লোক মাছ উৎপাদন, চাষ এবং এ-সংশ্লিষ্ট পেশার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।

পাভেল এগ্রো হ্যাচারী (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকদীর আহমেদ পাভেল বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মৎস্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিরাট আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছে। যেখানে প্রতি বছর কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রায়- ৫০০০- ৬০০০ কেজি কার্প জাতীয় রেনু পোনা উৎপাদন করা হয় সেখানে এ বছর সেই মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। সরকার কতৃক গৃহীত এই লক ডাউন ও শ্রমিকরা জীবন মায়ায় কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করছে। পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাচামাল (পি.জি)’র অত্যধিক দাম বৃদ্ধির ফলে হ্যাচারির উৎপাদন বেশ ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, তাছাড়া যতটুকু উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, সেটাও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে মৎস্য হ্যাচারি মালিকদের এই ক্ষতিপূরনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব আমাদের মৎস্য খাতে পড়েছে। রেণুপোনা উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়বে। তাই আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত আকারে রেণুপোনা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারি মালিকদের বলেছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Comments

comments