কিশোরগঞ্জে তালিকা ছাড়াই কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এমনকি কোনো ধরণের প্রস্তুতি নেই ধান ক্রয়ে। জেলা খাদ্য বিভাগে সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০৮০ টাকা মণ দরে অর্থাৎ ২৭ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার ৩৪৬ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে এবং বাকি উপজেলায় লটারির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে।
তবে এখনও কৃষকদের হালনাগাদ তালিকা শেষ হয়নি। জেলা খাদ্য বিভাগের দাবি গত বছরের তালিকা হালনাগাদ করে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব উপজেলায় ধান কেনা শুরু হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ সদর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী ও ভৈরবে অ্যাপসের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। আগামী ১০ মে পর্যন্ত নাম নিবন্ধন করা হবে। এরপরই পুরোপুরি ধান কেনা শুরু হবে। তবে অন্য উপজেলাগুলোতে লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হবে। তাই ওইসব উপজেলায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ধান কেনা শুরু করা যাবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা শুরু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান কেনা হবে।
এদিকে, বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা খাদ্য গুদাম এলাকায় সদর উপজেলার একজন কৃষকের কাছ থেকে এক মেট্রিক টন ধান কেনার মধ্য দিয়ে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদির মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাগুপ্তা হকসহ জেলা খাদ্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
Comments
comments