সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ভাটির একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল শাল্লা উপজেলা। এই অঞ্চলের মানুষ এখনও মান্ধাতা আমলের জীবন যাপন করে। দেশ যখন গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে তখনও এখানকার মানুষ পার্শ্ববর্তী উপজেলা দিরাই এর সাথে সংযোগ সড়কের দাবি তোলে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন শিক্ষা,চিকিৎসাক্ষেত্রে উন্নয়নের সামান্য ছোয়া লাগলেও পুরোপুরি বঞ্চিত থেকে যায় দিরাই শাল্লার সংযোগ ব্যবস্থায়।
দিরাই শাল্লা উপমহাদেশের বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান, এই অঞ্চল থেকে সাতবারের নির্বাচিত এমপি, সাবেক মন্ত্রী, প্রয়াত নেতা বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের এলাকা। উদ্যোগ নেওয়ার পরও সম্পন্ন হয়নি দিরাই শাল্লার মানুষের আবেগের এই রাস্তা। ২০১১ সালে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন এমপি প্রয়াত বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কাজের ধীরগতি থাকায় সাত বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। ২০১৭ সালের জুনে অসমাপ্ত অবস্থায়ই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় দিরাই-শাল্লা সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। দুর্বল নির্মাণকাজের কারণে সড়কের বেশিরভাগ অংশই ক্ষয় হয়ে যায়। ১২০ কোটি টাকা ব্যয় করেও সড়কের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়নি। স্থানীয়রা বলছেন সড়কের নামে ১২০ কোটি টাকা জলে গেল। বরং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শাল্লাবাসীর। এছাড়াও এই প্রকল্পে ১১টি সেতু ও কালভার্টে কোনো সংযোগ সড়ক দেয়া হয়নি। ফলে উপজেলার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বঞ্চিত।
দিরাই শাল্লা আঞ্চলিক সড়কের সাড়ে ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নির্মাণকাজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১২০ কোটি টাকা। কাজ অসমাপ্ত রেখে ২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১২০ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয় প্রায় ৯৯ কোটি টাকা। অসমাপ্ত এ সড়ক এলাকাবাসীর কোনো কাজেই লাগেনি।
২০১৭ সালে উপ নির্বাচনে প্রয়াত বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী এমপি জয়াসেনগুপ্তা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দিরাই শাল্লার উন্নয়নে উনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। রাস্তার জন্যও তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা কিছুদিন আগে উনার ফেইসবুক স্টেটাস থেকে জানা যায়। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে আটকে আছে দিরাই শাল্লার রাস্তা যা দিরাই শাল্লার জনগণের উন্নয়নের প্রধান ভূমিকা পালন করবে। ইদানিং দলমত নির্বিশেষে দিরাই শাল্লার মানুষ এই রাস্তা বাস্তবায়ন করার জন্য সোচ্চার হয়েছেন এবং নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেকোনোমূল্যে তারা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন করতে চায়। এই রাস্তা বাস্তবায়ন হলে এলাকার অবকাঠামোর উন্নয়ন থেকে শুরু করে, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি সকলক্ষেত্রে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
লেখক: মৃন্ময় দাস ঝুটন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
Comments
comments