জানা গেছে, তার স্থায়ী ঠিকানা কটিয়াদী পৌরসভার কমরভোগ এলাকায়। তার কোন নিজস্ব ভিটেমাটি নেই। জমিলা আক্তার নিরক্ষর। কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত যাত্রী ছাউনিতে মেয়ে পারভিনকে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই হলেও পান না সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা। তাই জীবনের তাগিদে মানুষের বাড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অনেকটা অনাহারে- অর্থাহারে দিন কাটে ৮০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধার। অথচ এখনও তার কপালে জুটেনি সরকারি নাগরিক সুবিধার বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড।
জমিলা জানান, ‘ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে। বেশ কয়েক বার পছন্দের প্রার্থীকে ভোটও দিয়েছেন। কিন্তু, পাস হবার পর কেউ কথা রাখেনি।
তিনি আরও জানান, ‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাব? আপাতত খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য সরকারি সুযোগ কবে পাবো এই পথ চেয়ে আছি।’
কটিয়াদী ইউএনও জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, ‘প্রশাসনের (আমাদের) সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিবেচনা করে ওই বৃদ্ধা নারীকে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার আওতায় আনা হবে।’