ঢাকারবিবার , ২৫ জুলাই ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে পাটের বাজার চড়া!

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ২৫, ২০২১ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। একদিকে বাম্পার ফলন, অন্যদিকে পাটের বাজার চড়া থাকায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। ফলে এবছর পাটের ন্যায্যমূল্যে পাবে কৃষকরা এমনটাই জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলায় এক হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০০ হেক্টর। গত মাসে প্রতি মণ পাট ৪ হাজার টাকা ধরে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছে কৃষকরা। সরকারের চলমান বিধিনিষেধের কারণে প্রতি মণে পাটের দাম কমেছে ৮’শ থেকে ৯’শ টাকা। সে তুলনায় বর্তমানে বটপাট প্রতি মণ তিন হাজার দুই’শ ও বগী পাট দুই হাজার আটশ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে চারশ থেকে পাঁচশ টাকা বেশি। পাট চাষে শুরুতে কৃষকরা অনেকটা হতাশ প্রকাশ করলেও বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি তারা।

কৃষকরা জানায়, পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। তবে সেই প্রবাদ এখন বিলিন হওয়ার পথে। উৎপাদনে খরচ ও পরিশ্রম বেশি এবং জাগ দেয়ার জায়গা না থাকায় পাট চাষে আগ্রহ কমেছে চাষীদের। ফলে প্রতি বছর কমছে পাটের আবাদ। আগাম বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় ফলন যেমন কম হয়েছে, পাটের মানও হতাশাজনক। তাই পাটের আবাদ ছেড়ে সবজির দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

আচমিতা গ্রামের কৃষক জব্বার মিয়া বলেন, পাটের আবাদে সবচেয়ে বড় সমস্যা জাগ দেয়ার জায়গা সংকুলান ও পানির অভাব। পাট কাটার পর জাগ দেয়ার জন্য ঠিকমত পানি ও জায়গা পাওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়।

করগাঁও গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি পাটের বাজারও চড়া। এবছর পাট বিক্রি করে লাভবান হতে পারব।’

কটিয়াদী বাজারের পাট ব্যবসায়ী শ্যামল বণিক। তিনি জানান, ইতোমধ্যে ৫’শ মণ পাট ক্রয় করা হয়েছে। এবং প্রতিদিন কৃষকের কাছ থেকে পাট ক্রয় করছেন। পাটের বাজার গত বছরের চেয়ে চড়া। ফলে কৃষক পাট বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুকশেদুল হক। তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতি বছর কমছে পাটের আবাদ। তবে এবছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

Comments

comments