ঢাকাসোমবার , ২৫ অক্টোবর ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে গত চার মাসে গরুর দুধের দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ২৫, ২০২১ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে গত চার মাসে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর দুধের দাম। বাজারে প্রতি লিটার দুধ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, যা গত চার মাস আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে দুধের চাহিদা বেড়েছে। সে অনুযায়ী সরবরাহ দিতে না পারলেও ৩০ শতাংশ দাম বৃদ্ধিতে বিক্রি করা হচ্ছে গরুর দুধ।

কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, এখানে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায় পাওয়া যেত গরুর দুধ। বেশ কয়েক দিন ধরে দুধের দাম বাড়তি। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এ বাজারে আরও বাড়তে পারে দুধের দাম। কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশ্বিন ও কার্তিকে এ এলাকায় বিয়ের আমেজ থাকে।

বিক্রেতারা বলেন, চার মাস ধরে দুধের ভালো দাম পাচ্ছি। আগে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা লিটার বিক্রি করতাম। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে বিক্রি করছি। সারাবছর এই দামে বিক্রি করতে পারলে গাভী পালন করে লাভবান হওয়া যাবে।

ক্রেতারা বলেন, আমাদের বাধ্য হয়েই দুধ কিনতে হয়। আমাদের পরিবারের সদস্যদের খাদ্য তালিকায় দুধ একটি অপরিহার্য খাদ্য। দুধের দাম গত চার মাসে যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মনে হয় না তা আর কমবে। বাজার মনিটরিং আছে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্ধিহান। এভাবে দাম বাড়ার কথা নয়। কোথাও না কোথাও গলদতো আছেই। আমরা এর প্রতিকার চাই।

বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা সূত্র জানায়, গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় একটি প্রভাব পড়েছে। দাম দ্বিগুণ হওয়াতে কোন সমস্যা ছিল না। মূলতঃ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে গো-খাদ্যের সরবরাহ না থাকার কারণে। কৃষকের বঁাচামরা নিয়ে আসলে কারও মাথা ব্যাথা নেই। দুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে গো-খাদ্যের দ্বিগুণ দাম। খামারিদের ব্যয় বাড়ার কারণে স্বল্পদামে দুধ বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে হবে।

বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আজমল খান বলেন, গত চারমাসে গরুর দুধের দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আমরা গো-খাদ্যের দামের লাগাম টানা দেখতে চাই। এভাবে দাম বৃদ্ধি হতে থাকলে খামারিরা পথে বসবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক বলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে।

Comments

comments