চলতি বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ৭৮০৬ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। বোরো বীজতলা এ বছর ১ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) পর্যন্ত ২ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বীজতলা তৈরির ধুম পড়েছে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা।
এসব বীজতলা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যেন কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত না হয় সে জন্য কৃষকরা বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শেও কৃষকেরা বীজতলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। জেলার করিমগঞ্জ, ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, তাড়াইল, নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে তোরজোর চালাচ্ছে কৃষকেরা। এখন পর্যন্ত বিস্তৃর্ণ হাওরে কুয়াশার কারণে কোন ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে না কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ছাইফুল আলম জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় এখন পর্যন্ত ২০১৮ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। বীজতলাগুলোর অবস্থা ভালো। এখন পর্যন্ত বীজতলা তৈরিতে কোন ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি কৃষক।
ছবি:- রাকিবুল হাসান রোকেল।