ঢাকাশুক্রবার , ১৯ জুন ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্তন ক্যান্সার সনাক্তকরণ ও তার প্রতিকার

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ১৯, ২০২০ ১০:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

‘স্তন’ লক্ষ লক্ষ কোষের সমন্বয়ে একটি অঙ্গ যার একটি মাত্র কোষের অনিয়ন্ত্রিত এবং অস্বাভাবিক বিভাজন থেকে স্তন ক্যান্সার বা টিউমারের উৎপত্তি। কখনো কখনো কিছু অস্বাভাবিক কোষ স্তন থেকে দেহের অন্যান্য অঙ্গে পৌঁছে জন্ম দেয় নুতন কোন টিউমারের।

ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ সমূহ:
বয়স:
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বা সম্ভাবনা অনেকাংশ বৃদ্ধি পায়।
সাধারণত চল্লিশ বছরের পর এটি হতে পারে।

পারিবারিক ইতিহাস:
রক্তসম্পর্কীয় কোন আত্মীয় যদি স্তন, কোলন বাজরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তবে আপনার
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়। এই ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পায় যদি অতি নিকটজন হয় (যেমন- মা, বাবা, খালা, ফুপু ) পঞ্চাশ বছর বয়সের পূর্বে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে অথবা পরিবারে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দুইয়ের অধিক হলে আপনি অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঋতুস্রাব:
অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হওয়া এবং বেশি বয়সে স্রাব বন্ধ হলে শরীরে দীর্ঘদিন ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব থাকে, যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধিকরে।

হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি:
ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সময় হলে অনেক মহিলারা হরমোন থেরাপি নিয়ে থাকেন, যা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে হরমোন থেরাপি বন্ধ করে দিলে এ ঝুঁকি অনেকাংশ কমে আসে।

জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণ:
দীর্ঘ সময় ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়, তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে তা কমে যায়।

স্থূলতা:
শরীরে অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার সাথে হরমোনের সম্পর্ক থাকায় তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ ঘটায়, অতএব ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। স্বল্প চর্বি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।

মদ্যপান:
মদ্যপান করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, অতএব তা পরিহার করুন।

ঝুঁকি কমানোর উপায় :

• নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম।

• সন্তানকে ব্রেস্ট ফিডিং।

• তিরিশ বছর আগে সন্তান গ্রহণ।

• স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ।

• স্ক্রিনিং

ব্রেস্ট স্ক্রিনিং এর নির্দেশমালা:
নিজে নিজেই স্তন পরীক্ষা প্রতিমাসে।
ক্লিনিক্যাল স্তন পরীক্ষা প্রতি বছর ম্যামোগ্রাম ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

স্তনের কি কি পরিবর্তন লক্ষণীয়:
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা নিজেরাই প্রথম তাদের স্তনের অস্বাভাবিকতা লক্ষ করে থাকেন, কিন্তু সব পরিবর্তন এই ক্যান্সারের লক্ষণ নয়, তাই কোন অস্বাভাবিক অবস্থা লক্ষণীয় হলে
চিকিৎসকের পরার্মশ গ্রহণ করুন।

লক্ষ্য করুন:
• স্তনের আকার, আকৃতি ও রং পরিবর্তন হয়েছে কিনা।
• স্তনের চামড়া পুরু বা পাকা কমলার খোসার মত হয়েছে কিনা।
• স্তনে বা বগলের নিচে কোন চাকা বা পিন্ড অনুভব হয় কিনা।
• স্তন বৃন্তের কোন পরিবর্তন (ডেবে যাওয়া রস বা রক্ত নিঃসৃত হওয়া)।
• যে কোন একদিকে ব্যথা অথবা কোন ধরনের অস্বস্তি অনুভূত হওয়া।

চল্লিশ বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য ব্রেস্ট স্কিনিং এবং সবাইকে সচেতন করার মাধ্যমেই প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার সনাক্তকরন সম্ভব। সুতরাং এ বিষয়ে অবহেলা না করে আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

“আসুন আমরা সবাই মিলে ক্যান্সারকে প্রতিহত করি”

ডাঃ মনীষা রায় সীমি
এম. বি. বি. এস (ডি.ইউ) সিএমইউ।

Comments

comments