সলতেটা নিভু নিভু
ভাসান চান্দের আলো দাওয়ায়,
কপিটা নিভছে তো নিভছেনা
কালি ধূঁয়া আর কেরোসিনে পোড়া সলতেটা জানিয়ে যাচ্ছে বেঁচে আছি তবে দমের শেষ উপোর টান চলছে।
দাওয়ায় বিছানু চান্দের আলোয়
আবছা একটা ছায়া কাঁপছে;
ঘরের ভেতর একজন
জীবন সায়ান্নে কুপির মতই যাবে যাবে যাচ্ছেনা,
দাওয়ায় ছায়ামূর্তিটা আছে সেদিকেই তাকিয়ে,
কে? কেগো তুমি বেগানার মত
পরঘরে উঁকি মার?
কুপিটা আরো একরাশ কালো ধূয়া ছেড়ে ধপ করে জ্বলে উঠে নিভে যায়,
একটা অচেনা বাতাস আঁন্ধার ঘরের কপাট দিয়ে চলে যায়।ঘরের ভেতর এক নিরব নিস্তব্ধতা,
নিরবতার ভেতর ও যেন কেউ আঁধার কে কানে কানে বলে যায়-
কে? কেগো তুমি?
কেউ সাড়া দেয়না,
চান্দের আলোয় ভাসা জোত্স্নার ক্ষেতের মত অনাবাদি উঠান ভেংগে নিরব নিভৃত সময়কে কাঁধে তুলে ছায়ামূর্তি হেঁটে হেঁটে চলে যায়।
ভাষান জোত্স্নার চাঁদ
নিবর সময়
অনাবাদি উঠানে জোত্স্নার ক্ষেত
নিথর এক কায়া
সলতে পোড়ে ছাই হওয়া নিঃসঙ্গ কুপি, নিরন্তর জানতে চায়-
কে ? কে গো তুমি?
ছায়ামূর্তি এক মহাকাল ধরে বয়ে চলা নির্বাক কাফ্রি দাসের মত মনিবের ঠিকানা পথে চলে যায়,
নিরুত্তর হেঁটে হেঁটে॥
কবিঃ মোকাম্মেল হক নয়ন
[রচনাঃ০৯-১০-২০১৪ই]
খরমপট্টী, কিশোরগঞ্জ।।
Comments
comments