রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চর দৌলতদিয়া গেন্দু বেপারীর পাড়ায় পাট ছাড়ানো কাছে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষাণ কৃষাণীরা।
কৃষি প্রধান দেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকারী ফসল পাট চাষে কৃষকের দুরবস্থার সন্মুখীন হলে ও চলতি মৌসুমে গোয়ালন্দে সোনালী আঁশের দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে । উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় পাট কাটা জাগ দেওয়া ও পাট কাটি থেকে পাট ছাড়ানো কাছে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ কৃষাণীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গুরে দেখা গেছে যে সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন জলশায়ে জাগ দিচ্ছে কৃষকরা। আবার কোথায় কোথায় দেখা গেছে নারী পুরুষ ও শিশুদের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানো কাজ চলছে । পাটের আঁশ ছাড়ানো পর রোদে শুকিয়ে সে গুলো হাট বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। এ বছরে পাটের ভাল ফলন হওয়ায় দাম ও ভাল পাওয়ায় কৃষকেরা খুশি। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুরে দেখা যায় বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ১৮শ”টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ১৫শ” টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ন্যায্যমূল্য পেয়ে চাষিদের মাঝে এখন পাট চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষক রফিক বেপারী বলেন, এ বছরে ৫ বিঘা জমিতে পাট বুনে ছিলাম মোটামুটি ভাল হয়েছে। পাট কাটার লেবারের দাম একটু বেশি প্রতি জন লেবারে দাম দিতে হচ্ছে ৯শ”থেকে ১ হাজার টাকা। তার পর ও খয় খরচ বাদে এ বছরে পাটে ভাল দাম পাওয়ায় লাভ হবে।
কৃষাণী রেশমা আক্তার জানায় , আমরা এ বছরে আড়াই বিঘা পাট বুনে ছিলাম পাট ভাল হয়েছে কিন্তু লেবারে অভাবে পাট জাগ থেকে ছাড়ানোর কিছুটা সমস্যা হচ্ছে । যার ফলে আমি আমার সাম্বী মিলে ও আর দুই জন লেবার নিয়ে পাট ছাড়ানোর কাছ করছি । আশা করছি পাটে ভাল দাম পাবো।
মর্জিনা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমাদের কোন জমি নেই । আমার কিছু পাট কাটি প্রয়োজন টাকা দিয়ে কিনতে পারবো না । তাই আমি আর আমার মেয়ে মিলে অন্য জাগের পাট ছাড়িয়ে দিয়ে শুধু পাট কাটি গুলো নিয়ে যাই।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহেমা আক্তার জানান, এ বছবে গোয়ালন্দ উপজেলা পাট আবাদ হয়েছে তিন হাজার নয়শত হেক্টর জমিতে ।
Comments
comments