নারায়নগঞ্জে আড়াইহাজারে এক সন্তানের জননী নূর মেহের বানু (৬০)। থাকতেন রাজধানীর মুগদা এলাকায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অনেক কষ্টে একমাত্র মেয়ে শামিমাকে মানুষ করেছেন। শিক্ষকতা করতেন স্থানীয় এক স্কুলেও। তারপর বিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় মনির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে। এর মধ্যে মা নূর মেহের বানু অসুস্থ হয়ে গেলে ঠাঁই হয়নি মেয়ের পরিবারে। কিছুদিন থাকার পর স্বামীসহ মেয়ের অমানুষিক নির্যাতন সহ্য হয় তাকে। ২০১৭ সালের শেষের দিকে মা নূর মেহের বানু কে ফেলে যায় রাস্তায়। সেখান থেকে খবর পেয়ে উদ্ধার করে মিরপুরের বৃদ্ধাশ্রম চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার।
২০১৯ সালের রোজা ঈদের আগে তার মেয়ে শামিমা বৃদ্ধাশ্রম থেকে তার মাকে নিয়ে যায়। ১৩ মাস পর অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের ২২ আগষ্ট আবারও নির্যাতন করে আবারও গভীর রাতে মুগদা পানির ওয়াসার পাশে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় ওয়াসার কর্মচারীদের সহায়তায় আবারও ঠাঁই হয় এই বৃদ্ধাশ্রমেই।
চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের পরিচালক মিল্টন সমাদ্দার জানান, নূর মেহের বানু আমার আশ্রয়ে অনেকদিন ছিলেন। ওনার মেয়ে একপ্রকার জোর করেই আমার কাছ থেকে নিয়েছিলো। আর নেয়ার সময় আমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলো যে আর কখনও অত্যাচার নির্যাতন করবে না। আর ১৩ মাস আগে আমি যে কাপড় দিয়েছিলাম সেই কাপড়গুলোই সাথে ছিলো। তার মেয়ে-মেয়ের স্বামী একটা কাপড়ও কিনে দেয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেয়ে ও তার স্বামীর সাথে কয়েকদফায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comments
comments