ঢাকাশনিবার , ১৫ আগস্ট ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বার্সাকে তছনছ করে সেমিফাইনালে বায়ার্ন

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ১৫, ২০২০ ৩:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!



উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে বার্সেলোনা পাত্তাই পেল না বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে তছনছ করে দিলো জার্মান বুন্ডেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অবিশ্বাস্য বিশাল জয়ে তারা পা রাখল প্রতিযোগিতার শেষ চারে।

শুক্রবার রাতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও দা লুজে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন। তাদের পক্ষে জোড়া গোল করেন টমাস মুলার ও বদলি নামা ফিলিপে কৌতিনহো। জালের দেখা পান ইভান পেরিসিচ, সার্জ গ্যানাব্রি, জশুয়া কিমিচ ও রবার্ট লেভানডভস্কিও। ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলের পর বার্সার হয়ে ব্যবধান কমান লুইস সুয়ারেজ।



মৌসুম জুড়েই বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল রক্ষণভাগে। সে সমস্যা যে দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে তা এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিল বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই জয় এক প্রকার নিশ্চিত করে ফেলে দলটি। এ সময়ে বাভারিয়ানরা গোল পায় চারটি।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বাঁ প্রান্ত থেকে আক্রমণ শানিয়ে গোল আদায় করে নেয় দলটি। পেরিসিচের ক্রস ধরে ডি-বক্সের সামনে লেভানডভস্কির সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে অসাধারণ এক শটে জাল খুঁজে নেন মুলার।



সমতায় ফিরতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেয়নি কাতালানরা। যদিও বায়ার্নের ভুলেই গোল খায় তারা। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের দিকে আগুয়ান সুয়ারেজের উদ্দেশ্যে বাড়িয়েছিলেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। তবে সে বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঢুকিয়ে দেন আলাবা।

নবম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করে বার্সেলোনা। গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সুয়ারেজ। নেলসন সেমেদোর বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে আলতো চিপ করে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। তবে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারের গায়ে লেগে ফিরে আসলে নষ্ট হয় সে সুযোগ।



পরের মিনিটে দুর্ভাগ্য বার্সার। বাঁ প্রান্ত থেকে লিওনেল মেসির দূরপাল্লার শট বারপোস্টে লেগে ফিরে না আসলে এগিয়ে যেতে পারতো কাতালানরা।

২১তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় বায়ার্ন। নিজেদের অর্ধে সার্জি রবার্তো বল হারালে বাঁ প্রান্তে পেরিসিচকে পাস দেন গ্যানাব্রি। ডি-বক্সে ঢুকে অসাধারণ এক কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার।



২৭তম মিনিটে পেরিসিচের আরও একটি ক্রস থেকে গোল প্রায় পেয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। লেভানডভস্কির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। তবে ১০ সেকেন্ড পরেই লিওন গোরেৎজকার বাড়ানো বল ধরে দারুণ এক গোল দেন গ্যানাব্রি।

পরের মিনিটেই টের স্টেগেনের ভুলে আরও একটি গোল খেতে বসেছিল বার্সা। তবে লেভানডভস্কির শট সে দফায় কোনোরকমে ফেরান তিনি।



৩১তম মিনিটে চতুর্থ গোল হজম করে বার্সা। কিমিচের ক্রস থেকে দারুণ টোকায় বল জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল পান মুলার। ফলে প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাভারিয়ানরা।



Comments

comments