অক্টোবরে দুটি ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব অভিযান শুরু করবে আর্জেন্টিনা। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই দুটি ম্যাচ লিওনেল মেসি খেলবেন কি না, সংশয় দেখা গিয়েছিল। গত বছর কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় পরের একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (এএফএ) ক্লদিও তাপিয়া গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মেসির ওই শাস্তির জন্য নির্ধারিত আইনি সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে তার আর কোনো সমস্যা নেই। ফলে মেসিকে নিয়েই বাছাইপর্বের ম্যাচে নামবে আকাশি-সাদারা।
বুয়েনস এইরেসে ৮ অক্টোবর ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৩ অক্টোবর লা পাজে তাদের প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) মেসিকে নিষিদ্ধ করার পর জানিয়েছিল, একটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বসে থাকতে হবে তাকে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত বছর ব্রাজিল ও উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলেছেন মেসি। তবে সেগুলো ছিল প্রীতি ম্যাচ। তবে মেসির ওই শাস্তির বিপক্ষে আইনি সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার আপিল করেছিলেন এএফএ সভাপতি। এরপরই সুখবরটা জানানো হয় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) টুইটে।
এএফএ-র টুইটে বলা হয়, কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিনগুয়েজ নিশ্চিত করেছেন শাস্তির আইনি সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় মেসি খেলতে পারবেন। শাস্তি বহাল থাকলে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারতেন না বার্সেলোনা তারকা। গত বছর কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মেসির লাল কার্ড দেখা নিয়ে বিতর্ক আছে।
ম্যাচের তখন ৩৭ মিনিট। চিলির বিপদ সীমার মধ্যে বল দখলের লড়াইয়ে গ্যারি মেডেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। সেটি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত, তখন পরিষ্কার বোঝা যায়নি।
কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় চিলি অধিনায়ক শরীর দিয়ে গুঁতোতে শুরু করেন মেসিকে। হঠাৎ এ আক্রমণের পাল্টা জবাব দেননি মেসি। দুই হাত তুলে চিলি অধিনায়কের প্রতিটি গুঁতোয় পিছিয়েছেন দু-এক পা করে।
এর মধ্যে রেফারি মারিও ডিয়াজ দে ভিভার ছুটে এসে সরাসরি লাল কার্ড দেখান দুজনকেই! অথচ ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, লাল কার্ড দেখার মতো কোনো অপরাধ করেননি মেসি।
Comments
comments