ঘরের মাঠে টানা ১০ সেঞ্চুরির পর, অবশেষে বিদেশের মাটির গেঁড়ো খুললেন মুমিনুল হক। দেশের বাইরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পূরণ করলেন তিনি। যেটি আবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ মাইলস্টোন। অন্যদিকে দেড়শ রান করে ক্রিজে আছেন শান্ত। ২০০৩ সালের পর এ প্রথম এমন স্বপ্নের দিন পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে শততম টেস্টে বাদ পড়েছিলেন পারফরম্যান্সের জন্য। এরপর, ঘরের মাঠে আবারো সেই লঙ্কাকে পেয়ে করেছিলেন দুই সেঞ্চুরি। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলন নিজের মুন্সিয়ানা, ভুল প্রমাণ করেছিলেন হাথুরুকে।
কিন্তু সময় গড়াতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় মুমিনুলের সব কীর্তি। ঘরের মাঠে একের পর এক সেঞ্চুরি যার কাছে হাতের ময়লা, বাইরে গেলেই তার যেন কি একটা হয়ে যায়। সেঞ্চুরি তো দূরে থাক, ফিফটি পেরুতেই নাভিঃশ্বাস ছুটে যায় তার। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।…
এর মধ্যেই আবার অধিনায়কত্ব তুলে দেয়া হয় তার ছোট কাঁধে। দায়িত্ব পেয়ে যেন, খেলাটা আরো ভুলে বসেন মুমিনুল। ৮ বছরের ক্যারিয়ারটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় তার। এবার শ্রীলঙ্কা সফরের আগে তাই দলে জায়গা নিয়েও কথা উঠে মুমিনুলের। শান্তর মতো এতটা না হলেও, ক্যারিয়ার অনেকটাই সুতার ওপর এসে দাঁড়িয়েছিল মিনি’র।
অবশেষে, নাজমুল হোসেন শান্তর পর অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন মুমিনুল হক। কক্সবাজারকে নিয়ে…এলেন ক্যান্ডিতে। তবে, সেটা কথা দিয়ে নয়, পুরোটাই তার ব্যাটের ছন্দে।
প্রথম দিন যখন নেমেছিলেন, তখন রান পাহাড়ে উঠার চেষ্টায় রত বাংলাদেশ। তামিম-শান্তর ১৪৪ রানের জুটির ওপর দাড়িঁয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মিনি’কে। অধিনায়কের চওড়া ব্যাট স্বস্তি দিয়েছে শান্তকেও। ফলাফল দেড়শ রানের অপরাজিত জুটিতে শেষ হয় প্রথম ৯০ ওভার।
দ্বিতীয় দিনে, নতুন বলে কিছুটা সুবিধা পায় লঙ্কানরা। কিন্তু নিজের চিন্তায় অটল ছিলেন মুমিনুল। ফলাফল, ভালো বল ছেড়েছেন আর বাজে বল মেরেছেন সপাটে। যত সময় গড়িয়েছে, অপেক্ষা বেড়েছে সবার। খরা কেটেছে মিনি’র। ৭ অর্ধশতকের পর, দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম বিদেশি শতকের।
টেস্টে চলে গেছে ১০০ ওভার। অথচ বাংলাদেশের উইকেটের ঘরে সংখ্যাটা মাত্র ৩। বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেট সমর্থকদের অনেকের কাছে বিষয়টা নতুন হলেও, টাইগার ক্রিকেটে… যে ঘটনাটা মোটেও প্রথম নয়। ২০০৩ এ পাকিস্তানের পেশোয়ারে হাবিবুল বাশার সুমন, জাভেদ ওমর এবং আশরাফুলের কৃতিত্বে শেষবার এমন স্বপ্নের দিন পার করেছিল টাইগাররা।
Comments
comments