ঢাকাসোমবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈগলের ঠুকরে ডুবে গেল নৌকা, আর ট্রাক গেল ভেঙে

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ৮, ২০২৪ ১০:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে ঈগলের ঠুকরে নৌকা ডুবে গেছে। ২০ হাজার ৬০৭ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মো. সোহরাব উদ্দিন (ঈগল)। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাহার আকন্দ (নৌকা) পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট।

অন্যদিকে এ আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৯৯ ভোট। এ আসনের দুই উপজেলায় মোট ভোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২টি ভোট গৃহিত হয়েছে। এ হিসেবে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন তার জামানত হারিয়েছেন।

সোমবার (০৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

এদিকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, এ আসনটিতে নৌকা ছাড়া দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল। একজন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সোহরাব উদ্দিন। অন্যজন হলেন বিএনপি থেকে ৬ বারের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক এমপি মেজর (অব) আখতারুজ্জামান। ত্রিমুখী ভোট যুদ্ধ হবার কথা থাকলেও মূলত যুদ্ধই হয়নি। বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে সোহরাব উদ্দিন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ দলীয় মনোনয়ন পায়নি। তাঁকে সরিয়ে এ আসনে নৌকা তুলে দেওয়া হয়েছিলো পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল কাহার আকন্দের হাতে। তিনি নৌকার মান রাখতে পারেননি। দুই বছর আগে পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হয়েছিলেন সোহরাব। স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে সোহরাব উদ্দিনের নিয়ন্ত্রণ খুবই শক্তিশালী।

পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলার সাধারণ মানুষ বলছেন, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোহরাব উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পরে তিনি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশে তিনি ছিলেন। পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলায় তাঁর রয়েছে বিশাল কর্মীবাহিনী। সোহরাব উদ্দিন এই আসনের জন্য বিরাট ফ্যাক্টর। আর তাই তিনি বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন।

ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ২০০৯ সালে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। ২০১৪ সালে আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হইছে। স্বাধীনতার পরে অন্য কারও সময় তা সম্ভব হয়নি। এইজন্য ভোটার ও নেতাকর্মীদের মধ্যে আশা ছিলো আমার দ্বারা ব্যাপক উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা চায় সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আমার দ্বারা সামাজিক নিরাপত্তা পাবে। আর তাই ভোটাররা আমাকে বিজয়ী করিয়েছে। আওয়ামী লীগে থেকে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা কঠিন বিষয়। কিন্তু আমাদের নেত্রীর কথার উপর ভরসা রেখে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম।

ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বলেন, একানে একজন প্রার্থী ছিল মেজর আখতারুজ্জামান সাহেব। তিনি ঘোষণা দিছিলেন তিনি ঘুমিয়ে থাকলেও পাস করবেন। এরপরে উনার পক্ষে জানি না এটা সঠিক কিনা ভূয়া হতে পারে? এনএসআইয়ের নাম করে তারা আমার অনেক নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে ওইসময়। ইভেন এমনও বলা হইছে ট্রাকে না উঠলে গুলি করা হবে। এমন অনেক কথাবার্তা বলার পরেও আমাকে বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে আমাকে কাজ করতে হইছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি ও করুনা এমন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকে আমি জয়লাভ করেছি।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, আমি এই নির্বাচন মেনে নেইনি। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব। এই আসনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।

Comments

comments