কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে একমাত্র সন্তানকে মারধর করায় স্ত্রী স্বপ্না আক্তারকে (২৫) পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী কাউসার মিয়া (৩০)। গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) দম্পতির একমাত্র সন্তান আরাবীকে (৪) মারধর করেন মা স্বপ্না আক্তার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন কাউসার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার স্বপ্নার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত স্বপ্না আক্তারের বাবা মরম আলী বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার কাউসার মিয়াকে প্রধান আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে কুলিয়ারচর থানা-পুলিশ।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন—কাউসার মিয়ার ছোটভাই ইউছুফ মিয়া (২৪) ও ইউছুফ মিয়ার স্ত্রী রুপা বেগম (২০)।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ৭ বছর আগে স্বপ্নার সঙ্গে জিল্লু মিয়ার ছেলে কাউসারের বিয়ে হয়। গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) তাঁদের একমাত্র সন্তান আরাবী (৪) তার আপন ছোট চাচা ইউছুফ মিয়ার ঘরে ঢুকে ব্যবহারের টুথপেস্ট নষ্ট করে ফেলে। এ নিয়ে ইউছুফ মিয়ার স্ত্রী রুপা বেগম আরাবীর মা স্বপ্না আক্তারকে গালিগালাজ করে। এতে স্বপ্না রেগে গিয়ে ছেলেকে মারধর করেন। এ সময় স্বামী কাউসার মিয়া ছেলেকে মারতে দেখে স্ত্রীকে শাসন করে। একপর্যায়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। আর এতেই স্বপ্না আক্তার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বপ্না আক্তারকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বামী নিজেই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বপ্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত স্বামী কাউসার মিয়া থানায় সাংবাদিকদের বলেন, গত তিন মাস আগে স্বপ্না আক্তারের অ্যাবোরশন করা হয়েছিল। সেদিন ছেলেকে মারধরের পর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই ঘটনাটি ঘটে গেছে।
নিহত স্বপ্না আক্তারের বাবা মরম আলী, ‘আমার মেয়েটাকে পাষণ্ডের মতো মেরেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’