ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৯ জুলাই ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাসেলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ৯, ২০২০ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম রাসেলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার ভয়ভীতি প্রদান করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পান না।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আইন মেনে মোহাম্মদিয়া রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করে আসছেন সত্ত্বাধিকারী মো. শামীম। ব্যবসা পরিচালনার প্রেক্ষিতে চলতি বছর কটিয়াদী পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম রাসেল প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা দাবি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে দিদারুল আলম রাসেল তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পরে। সে সূত্র ধরে গেল মাসের ২৩-০৬-২০২০ ইং তারিখে বন্ধ প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মো. কিরণ (৩০) ও মো. হারুন (২৫) দুই কর্মচারিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনার পর গত ২৪-০৬-২০২০ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

একাধিক সূত্র জানায়, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাসোয়ারা দাবি করে আসছে। দাবি পূরণ না করতে পারলেই তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার হুমকি প্রদান করেন অভিযুক্ত স্যানিটারি ইনপেক্টর রাসেল এবং প্রায়সময় জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র দাসের যোগসাজসে বিভিন্ন অপকর্ম করেন। এমনকি তার কর্ম সীমানা অতিক্রম করে বাজার কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল কোর্টের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছেন। তার ভয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। তবে অনেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগকারী শামীম বলেন, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম রাসেল প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা মাসোয়ারা দাবি করেন। মাসোয়ারা দিতে রাজি না হলে সে আমার প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারীকে জরিমানা করায়। পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের এ অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার রেস্টুরেন্ট এর প্রোপাইটর চন্দন সরকার জানান, রাসেল আমার প্রতিষ্ঠানে এসে খাবারে ভেজাল আছে জানিয়ে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। নদী বাধেঁর ব্যবসায়ী রফিক জানান, আমার মসল্লার দোকানে ভেজাল খাদ্য বিক্রি করা হয় এবং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে বলে ১ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায়।

স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম রাসেলের অফিসে তিনদিন ঘুরেও তার দেখা মেলেনি। বিষয়টি জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দিদারুল আলম রাসেল এ প্রতিবেদকের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে কটিয়াদী পৌর সচিব মো. আলমগীর বলেন, সে নিয়মিত অফিস করেন না। তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: তানভীর হাসান বলেন, এর আগেও একটি অভিযোগ এসেছিল। এনিয়ে দুইটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments