কিশোরগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আসবাবপত্র সরবরাহ কাজে LTM পদ্ধতিতে দরপত্র আহবানে অভিজ্ঞতার শর্তারোপ করা হয় যা পিপিআর পরিপন্থী হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয় যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর বলে জানা যায়।
সূত্র জানায়, পাবলিক প্রকিউরম্যান্ট এ্যাক্ট ২০০৬ এর অংশ-২ (ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন) ধারা ২৬ এ উল্লেখ আছে, LTM পদ্ধতিতে দরপত্র অংশগ্রহনের জন্য শুধুমাত্র কার্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হইবে না।” পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই তা পাবলিক প্রকিউরম্যান্ট এ্যাক্ট এ বলা হয়নি।
এছাড়াও ২৫ লক্ষ টাকার অনধিক মূল্যে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সিপিটিউ (CPTU) কর্তৃক নির্ধারিত দরপত্র দলিল (STD) PG-2 এ পৃষ্ঠা নং ১৮ এ ITT ৯.১ (ক) এবং ITT ৯.১ (খ) অভিজ্ঞতা ও শর্তারোপের বিষয়ে বলা আছে। উপোরক্ত বিষয়ে এটা প্রতীয়মাণ হয় যে কিছু ব্যক্তি স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে।
পিপিআর বর্হিভূত দরপত্র প্রদানের যে অভিযোগ দাখিল করা হয় সেই অভিযোগ পত্রে একজনের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসকন ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো: আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, পিপিআরের নিয়ম শর্ত বাতিল প্রসঙ্গে প্রেরিত পত্রে নিবেদকের স্থলে আমার অজান্তে জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়। যার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সুনামের পরিপন্থী। দরপত্রে পিপিআর অনুসরণ করে করা হয়েছে। উক্ত পত্রের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।
দরপত্র অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে কিশোরগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পিপিএ-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ এর বিধি অনুসরণ করেই দরপত্র আহবান করা হয়েছে।
Comments
comments